পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের ছাত্ৰ-শাসন বেত নিতাইয়ের পিঠে পড়তে লাগল, আর সে “বাবা রে” “মা রে” ক’রে আর্তনাদ করতে লাগিল । শাস্তির দ্বিতীয় পৰ্ব্ব এই বেত্ৰাঘাত শেষ হ’লে গুরুমশাই হুকুম দিলেন, “ওকে উঠানের রৌদ্রের মধ্যেওর হাতের আড়াই হাত জমি মেপে-দুই-পা সেই পরিমাণ ফাক কবিয়ে দাড় করা ; আর ওর দুই হাত সুমুখ দিকে উচু করিয়ে দিয়ে তার উপর দুইখানি দশ ইঞ্চি ইট বসিয়ে দে । এ হুকুম অমান্য করে কার সাধ্য। নিতাইকে সেই দুপুৰ বোদেই আড়াই হাত দূরে দূরে দুই পা ফাক করে, ইট হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হোলো । বেচারীর যে কি ভয়ানক শাস্তি, তা এখন ভেবে ও উঠতে পারা যায় না । এ ছাড়া আল ও যে কত বকম শাস্তি গুৰঞ্চমহাশয় সেকালে ছাত্ৰ-শাসনেব জন্য আবিষ্কার করতেন, তার বিবরণ আজ আর দিতে পারছিনে । এই সব ছিল সেকালের শাসন । আর এখন ত ছেলেরা রামরাজ্যে বাস করে । সে গুরুমশাইও এখন নেই ; পাঠশালা আছে বটে । কিন্তু সেকালের সে সব ভয়ানক শাসন আর নেই । s