পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কপি গা’ল দিতেন ; আর ছোট-বড়, ব্রাহ্মণ-কায়স্থ-নির্বিবশেষে সকলকেই তিনি “শালা’ এই মধুর সম্বোধনে আপ্যায়িত করতেন । এটা ছিল তাব বাইবের ব্যবহার ; মানের মধ্যে তার অন্য রূপ ছিল ; পরের উপকাবে তিনি একেবারে মুক্তিহস্ত ছিলেন , কেউ কোন দিন কোন প্রার্থনা কবে তার কাছ থেকে বিফল-মনোবাথ হয়ে ফিরত না । তবে, প্ৰথমে কিন্তু সকলকেই সইতে হোতো তার বাক্য-ব{ণ ; আর তার মধুর শ্যালক সম্বোধনটুকু যিনি সইতে পাবতেন, তার আর ভাবনা ছিল না । লোকে সে কথা জানত, তাই কেউ গালাগালি খেয়ে ও রাগ করত না, হাসিমুখে সহ্য করত। একদিনেব একটা ঘটনা বললেই তার সহায়তার কথা বুঝতে পারা যাবে । এক রবিবাবে একটি কন্যাদায়গ্ৰস্ত দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ চুড়ামণি দত্তের কাছে উপস্থিত । তাকে দেখেই দত্ত মহাশয় বললেন ‘ওবে শালা, কি জন্যে এসেছিস ? কিছু চাই বুঝি ?” ব্ৰাহ্মণ বলল “আজ্ঞে কন্যাদায়, তাই কিছু সাহায্য প্ৰাথনা করতে এসেছি।” দত্ত মহাশয় এই কথা শুনে রেগে উঠে বললেন, “ওরে শালা, বিয়ে করবার সময় চূড়ো দত্তকে জিজ্ঞাসা করেছিলি ? মেয়ে জন্মাবার সময় পরামর্শ নিয়েছিলি ? এখন বিয়ে দেবার সময় যে এসেছিস as