পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার প্রথম চা-পান রঙের কি কতকগুলো নিয়ে সেই হাড়ির মধ্যে ফেলে দিয়ে আবার হাড়ির মুখ বন্ধ করে দিলেন। অল্প একটু পরেই সেই হাড়ির মধ্যে খানিকটা দুধ, আর আধ সেরাটাক চিনি দিয়ে আবার ঢাকনী দিয়ে মুখ বন্ধ করলেন। আমরা অবাক হয়ে এই আশ্চৰ্য্য রন্ধনকাৰ্য্য দেখতে লাগলাম। তার পর, চেকারবাবু সকলকে বললেন যে, এ দ্রব্য পান করবার জন্য কোন পাত্ৰ তার পিসিমা দেবেন না ; সুতরাং, সকলকে অঞ্জলি পেতে নিয়ে এই সুধার আস্বাদন করতে হবে। এই বলে তিনি আগে তার বন্ধুদের মধ্যে তার এই সুধা পরিবেষণা করলেন । তার পর আমাদের বললেন, “তোরা সবাই সারা বেঁধে দাড়া ।” তথাস্তু ! আমরা সবাই তাই করলাম । তিনি তখন সেই সরায় ক’রে আমাদের করপুটে এই সুধা বণ্টন করে দিলেন। ঠাকুরবাড়ীতে গিয়ে আমরা যে একটু চরণামৃত নিই, এই সুধার পরিমাণ তার চেয়ে বেশী নয় । চেকারবাবু বললেন, “এর নাম “চি”-বুঝলি । এ বেশী খেলে মাথা ঘোরে-নেশা হয়, আর রাত্রে ঘুম হয় না। তাই তোদের একটু পরিমাণে দিলাম।” আমরা সেই একটু চা পান করে ভয়ে ভয়ে তখনই বাড়ী ফিরে গোলাম «SØR