পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়া উৎসব অবস্থার কথা জানলেও তিনি তঁার উপর এত নির্ভর করবার কথা মুখেও আনতেন না। কথা এই যে, রাধাবল্লাভের বাপ গোপীবল্লভ বাৰু এমন ঋণগ্ৰস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, এই বিপুল ঋণ শোধ করা দূরে থােক, তার সুন্দ পৰ্য্যন্ত যথারীতি দিতে পারছিলেন না । যে সময়ের কথা আমি বলছি, তখন গোপীবল্লভ বাবু তার জমীদারী বিক্ৰয় করে ঋণ শোধের ব্যবস্থা করছিলেন । জমীদারীর সামান্য একটু অংশও হয় ত রক্ষা করতে পারবেন না ; তাকে একেবারে পথে দাড়াতে হবে । সুতরাং রাধাবল্লভদের অবস্থা আমাদের অপেক্ষাও যে মলিন হবে, এ কথা আমি জানতে পেরেছিলাম ; কিন্তু রাধাবল্লাভের অনুরোধে কথাটা প্ৰকাশ করি নাই । রহমতপুর আমাদের গ্রাম থেকে বেশী দূর নয়, এই ক্রোশ পাচেকের পথ । রহমতপুরের জমাদার সরকার বাবুদের নাম আমাদের অঞ্চলের সকলেই জানত । তঁরা যে মামলা-মোকৰ্দমা করে ঋণগ্ৰস্ত হয়েছেন, সে কথাও দেশের লোকের অজ্ঞাত ছিল না । তা হোলেও সকলেরই ধারণা ছিল, জমীদার গোপীবাবু সমস্ত ধার শোধ করে দিতে পারবেন ; রহমতপুরের বাবুদের প্ৰতিপত্তি নষ্ট হবে না । লোকে যা মনে করেছিল, তা