পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা কবে লাহিড়ীীবাবুদেব সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা ঠিক কবেছেন এবং পুজার পরেই লেখাপড়া হবে, তখন তার ভয়ানক রাগ হোলো । টাকাব্য গবাম সকলে সহ্যু করতে পারে না, সৰ্ব্বানন্দও পাবল না। যে সৰ্ব্বানন্দ কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে গোপীবাবুর বাড়ীতেই দুধ-ঘি জোগান দিত, যার পিতাপিতামহ সবকারবাবুদেব আনুগত ভূত্য ছিল, টাকাব মানুষ হ’য়ে সৰ্ব্বানন্দ সে সব কথা ভুলে গেল। তাৰ পাব। গ্রামের জমীদার হবাব যে আশা সে পোষণ করেছিল, তাও হোলো না । এতে সৰ্ব্বানন্দ একেবাবে ক্ষেপে উঠল । সে তখন দুর্গোৎসব কববার আয়োজন কবল । সব রকমে জমীদাব-বাড়ীর পূজাকে হাবিয়ে দেবার জন্য সে একেবারে ^ বদ্ধ-পরিকর হােলো। গ্রামে ধূম লেগে গেল । কথাটা শুনে গোপীবাবু একটু হেসে বলেছিলেন, বেশ ত ! মায়ের পূজা করা সৰ্ব্বানন্দের পক্ষে যোগ্য কাজই হয়েছে। রহমতপুৰ ও নিকটবৰ্ত্তী পাঁচ সাতখানি গ্রামের প্ৰতিমা বিসর্জনের স্থান ছিল রহমতপুরের পার্শ্ববৰ্ত্তী ধনেখালির বিলে। এই বিলে যেতে হলে রহমতপুরের রাথতলা দিয়ে যেতে হয় । বহুকাল থেকে এই প্ৰথা চলে আসছিল যে, ঐ অঞ্চলের যে সকল গ্রামের প্রতিমা ধনেখালির বিলে বিসর্জন দেওয়া হোতে, সে সকল Se