পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা তার পর সে যে কাহিনী বলল, তা আমি আমার ভাষাতেই বলছি। এই স্থান থেকে মাইল তিনেক দূরে একটা গ্ৰাম আছে ; তার নাম এলাইপুর । পঞ্চাশষাট বছর আগে এই এলাইপুরে মহেশ দাস নামে এক জন মাহিষ্য চাৰী বাস করত । এখন যেখানে বটগাছ জন্মেছে, সেই জামী ঐ মহেশ দাসেরই ছিল । সে নিজেই ঐ জমীি চাষ করতো । জর্মীরা পৰিমাণও বেশী নয়-এই দুই বিঘে কি আড়াই বিঘে । এই জমীটুকু চাষ করবার জন্য মহেশ অন্য জন-মজুরের সাহায্য নিত না, কারণ তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার সামর্থ্য মহেশের ছিল না। দূরবর্তী গ্রামগুলির কাছে যে সব জমী ছিল, কৃষকেরা সে সকল জামী যখন-তখনই চাষ করত ; কিন্তু এই প্ৰকাণ্ড প্ৰান্তবের মাঝখানে যে সমস্ত জমী, সে-গুলি চাষ করবার জন্য চাষীরা খুব ভোরে জমীর উপর আসত ; বেলা আটট-নয়টা পৰ্য্যন্ত চাষ করত ; তার পরই বাড়ী চলে যেত; কারণ মাঠের মাঝে না আছে ছায়া, না পাওয়া যায় জল ; দ্বিপ্রহরের রৌদ্রে কি এ হেন স্থানে চাষ করা যায় ? একদিন মহেশের কি দুৰ্ব্ববুদ্ধি হোলো। সে তার স্ত্রীকে প্ৰাতঃকালে বলল যে, সে তার লাঙ্গল ও দুইটা গরু নিয়ে s