পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালিকা-বিদ্যালয় মেচ্ছ। আচার ত চলবেই, শাস্ত্ৰে লেখা আছে । তঁরা শেষের দিনের প্রতীক্ষায় বসে রইলেন । যে তিনটি মেয়ে নিয়ে প্রথম স্কুল খোলা হয়েছিল, বছর খানেক যেতে-না-যেতেই, তখনকার হিসাবে তাদের বিবাহের বয়স হোলো, অর্থাৎ তাদের বয়স এগারো-বারো হোলো । যুবকেরা এদিকে ‘রিফৰ্ম্ম’ করতে সাহসী হলেন না । মেয়ে তিনটির বিবাহ হয়ে গেল ; তাদের স্কুলে অ্যাস বন্ধ করতে হোলো । তার পর আরও একটা ব্যাপার হোলো । সেটি এই যে, বিবাহের পর ছয় মাসেব মধ্যেই সেই তিনটি মেয়ে বিধবা হোলে। গায়ের মুরুঝবীরা আবার গর্জে উঠলেন---এই দেখা হাতে-হাতে ফল ; তিনটি মেয়েই লেখাপড়া শিখতে গিয়েছিল, তারা দেখতে দেখতে বিধবা হোলো । অতএব, আর নয়, তুলে দেও ঐ পাপ স্কুল ; আর সামাজিক দণ্ড দে ও ঐ পাষণ্ডদের, যারা গুরুজনের আদেশ অমান্য করে এমন ধৰ্ম্ম-বিগাহিত কাজ করেছে । যুবকেরা এতেও নিরস্ত হলেন না ; তঁরা আরও বেশী উদ্যমে কাজ আরম্ভ করলেন ; অজস্র নিন্দা, গালাগালি, নিৰ্য্যাতন তারা মাথা পেতে নিলেন । তারই ফলে আজও সে স্কুল বেঁচে আছে। এখন প্ৰায় শতাবধি ه بر