বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম অধ্যায় ] সোেক্রটীসের পূর্ববৰ্ত্তী দার্শনিকগণ S8) ( কেন না, তখনও জগদব্যাপার বিষয়ে গ্ৰীক জাতির জ্ঞান পরিস্ফুট ও তত্ত্বBDBBB BBDB BB BBDBDBDB DDD DDS DDD BDBDD SS S DDDD BBD শেষ ভাগে আনাক্ষাগারাস জড় ও আত্মার প্রভেদের প্রতি লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। এই সময়ে সফিষ্টগণ সংশয়বাদ দ্বারা জনসমাজের চিত্তকে বিক্ষিপ্ত করিয়া ফেলেন। তঁহারা সাঁতত জ্ঞান ও নীতির মূল তত্ত্ব লইয়া আলোচনা করিতেন, সত্য; কিন্তু তঁহাদিগের বিচারের মীমাংসা এই দাড়াইল, যে জ্ঞান ও নীতিব কোনও বিজ্ঞানসন্মত ভিত্তি নাই। মানুষ জ্ঞানলাভের অধিকারী, এই বিশ্বাস যদি চলিয়া যায়, তবে মানুষের সত্য অবগত হইবার অধিকার আছে, এ বিশ্বাসও অন্তহিত হইবে। পুনশ্চ, ঐশ্বরিক ও মানবীয় বিধিসমূহ সৰ্ব্বোপরি প্রভু, অতএব অবশ্যপালনীয়, গ্ৰীক জাতির নীতি এই প্ৰত্যয়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত ছিল; এই প্ৰত্যয় যেমন শিথিল হইল, তাহাদিগের নৈতিক ও রাষ্ট্ৰীয় জীবনও তেমনি মান হইয়া পড়িল। গ্ৰীকদিগকে দুৰ্গতি হইতে রক্ষা করিবাব জন্য এই কালে যে-বস্তুটীর একান্ত প্রয়োজন ছিল, তাহা, জ্ঞান কি, জ্ঞানের প্ৰতিষ্ঠাভূমি কি, জ্ঞানলাভের উপায় কি কি-এই প্রশ্নগুলির যুক্তিযুক্ত সমাধান। এই প্রয়োজন-পূরণের অভিপ্ৰায়ে সোফ্রাচীস কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। তিনি সামান্য-নিরূপণ ও ব্যাপ্তিগ্রহের সাহায্যে সত্যানুসন্ধানের পথ সুগম করিয়া দিলেন, এবং ধৰ্ম্ম ও নীতিকে প্ৰধানতঃ বিচাৰ্য্যবিষয়ৰূপে নিৰ্দ্ধারণ করিয়া গ্ৰীক দৰ্শনকে নভোমণ্ডল হইতে ভূতলে আনয়ন করিলেন। শেষোক্ত কৰ্ম্মে কালপ্রবাহ তাহার সহায় হইয়াছিল। পঞ্চম শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতেই গ্রীকের সৃষ্টিতত্ত্ব হইতে নৃতত্ত্বে অধিকতর মনোনিবেশ করিয়া আসিতেছিল। প্ৰথমে স্বভাবতঃই তাহাদিগের কৌতুহলপরবশ দৃষ্টি বহির্জগতের প্রতি নিবদ্ধ ছিল; ক্ৰমে তাহারা মানবীয় ব্যাপারের অনুশীলনে অভিনিবিষ্ট হইতে অভ্যস্ত হইল; তাহারা বুঝিল, “মনুষ্যই মনুষ্যের যথার্থ অধ্যয়নীয় বিষয়।” গ্ৰীক জাতির চিত্ত এই যে ধীরে ধীরে নৈসৰ্গিক গবেষণা হইতে মানবসমাজের হিতচিন্তার দিকে ধাবিত হইতেছিল, সোক্রোটসের প্রযত্নে তাহাদিগের চিত্তের সেই বেগ প্ৰবল হইয়া উঠিল। তাহার যৌবনকালে গ্ৰীক দর্শনের সকল