বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x२भ श्रक्षाश ] वि5ाद्री ७ शूड्रा (9ዓዓ হীন, এরূপ বলিলে পদে পদে প্রাচীন সংস্কারের সহিত সংঘর্ষ না ঘটিয়াই পাবে না। সকল কাৰ্য্যে বিচারবুদ্ধিই আমাদিগের পথপ্রদর্শক, ইহা যদি স্বীকার করি, তবে কেন জিজ্ঞাসা করিব না, রাষ্ট্রবিধি অবশ্যপালনীয়, এই ধাবণ যুক্তিসঙ্গত কি না ? আব্ব মানুষ যদি বিচারবুদ্ধির অনুসরণ কবে, তবে তাহাব নিশ্চিত প্ৰত্যয় ও জনসমাজের ইচ্ছার মধ্যে যতটুকু ঐক্য আছে, ততটুকুই সে ঐ ইচ্ছাব নিকটে অবনতি হইবে, তাহার অধিক নহে ; উভয়ের মধ্যে যদি আত্যন্তিক বৈষম্য থাকে, তবে সে জনসমাজেব ইচ্ছাকেই উপেক্ষা কবিবে। সোফ্রােটস আত্মসমর্থনে তাহা খুব দৃঢ়তাব সহিতই বলিয়াছেন। (Ap., 2!) । অতএব আমবা নিঃসংশয়ে উপলব্ধি করিতেছি, যে প্রাচীন মতের সঠিত সোেক্রাটসের মতোব ঐকান্তিক বিবোধ ছিল। রাষ্টধৰ্ম্মই সর্বাগ্ৰে পালনীয়, এই মতের প্রতিবাদ । আমি বা প্রথম খণ্ডেব দ্বাদশ অধ্যায়ে বলিয়াছি, “গ্ৰীক সভ্যতা বাষ্ট্রধৰ্ম্মী ; উহা বাষ্ট্রকে আশ্রয় ও পবিবেষ্টন কবিয়া বিকাশ লাভ কবে ।” ( ৪৫৬ পৃষ্ঠা )। গ্রীকেরা বিশ্বাস করিত, যে “রাষ্ট্র ত্যাগ করিয়া মানুষ কখনই স্বপ্রতিষ্ঠাতা ও পবিপূর্ণতাব দিকে অগ্রসর হইতে পারে না ;” কেন না, রাষ্ট্রই তাহার মানসিক ও নৈতিক বৃত্তিব পরিচালনার প্রকৃষ্ট আয়তন । ( ৪৫৬ পৃষ্ঠা ) । সোফ্র্যাটাস রাষ্ট্রকে অবজ্ঞা করিতেন না, এবং ইচ্ছাপূর্বক কখনই শিষ্যগণকে রাষ্ট্রবিমুখ করিয়া তোলেন নাই ; কিন্তু তঁহার শিক্ষা পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রধন্মের গুরুত্ববোধকে হ্রাস । করিয়াছিল। তিনি বলিতেন, “অপরের কাৰ্য্যে হস্তাৰ্পণ করিবার পূর্বে আত্মোন্নতি সাধন কর;” তিনি নিজের মুখে আত্মসমর্থনে ঘোষণা করিয়াছেন, যে রাষ্ট্রীয় ব্যাপাবে নির্লিপ্ত থাকাই তিনি আপনার পক্ষে অন্তদেবতার আদেশ বলিয়া গ্ৰহণ করিয়াছিলেন; তিনি শিক্ষা দিতেন, আত্মার শ্ৰেয়ঃই পরম শ্ৰেয়ঃ, আত্মোৎকর্ষ-সাধনই মানবেব প্রথম ও প্রধান কৰ্ত্তব্য। সুতরাং আমাদিগকে স্বীকার করিতেই হইবে, যে “সেক্রেটস আত্মানুসন্ধান এবং চিন্তা ও বিবেকেব। স্বাধীনতার উপরে জোর দিয়া سو8