বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সোক্রেটস | sभ डांश আর একটী বিষয়ে তাহার স্বাতন্ত্র্য ইহা অপেক্ষাও সুস্পষ্ট ও সৰ্ব্বজনবিদিত। দৈবা।দেশ পাইয়া নূতন পথে যাত্রা আরম্ভ করিলেই কেহ সেই পথে আমরণ অবিচ্ছেদে চলিতে পারে না । একজন সরলপ্ৰাণ-ব্যক্তি কোনও শুভ মুহুর্তে ইষ্টদেবতার বাণী শুনিয়া কঠিন কৰ্ত্তব্যভার মাথা পাতিয়া গ্ৰহণ করিতে পারে ; কিন্তু দেবতা যদি এক দিন অন্তরে প্রেরণা দিয়াই নীরব হন, তবে তঁহার সেবক কোন ভরসায় সেই কৰ্ত্তব্যপালনে তিল তিল করিয়া আপনাকে ক্ষয় করিবে ? সোেক্ৰটীস নিয়ত দৈববাণী শুনিতে পাইতেন। কোন কৰ্ম্ম কবণীয়, কোন কৰ্ম্ম অকরণীয়, কোন ঘটনা শুভ, কোন ঘটনা অশুভ, কখন কি বলিতে হইবে, কি না বলিতে হইবে-এ সকলই তিনি দৈব ইঙ্গিতেব সাহায্যে স্থিব করিতেন । এই প্রেরণা সম্বন্ধে তিনি এমন নিঃসংশয় ছিলেন, যে তিনি কাহারও নিকটে এ তত্ত্বটী গোপন করিতেন না ; তঁহার পরিচিত সকলেই জানিত, যে তিনি আপনাকে সত্যসত্যই দৈবানুগৃহীত বলিয়া বিশ্বাস করেন। ইহা হইতেই পরে তাহার বিরুদ্ধে এই একটী অভিযোগেব। উৎপত্তি হইয়াছিল, যে তিনি এক নব দেবতার সৃষ্টি কবিয়াছেন।” দৈববাণীর বিবিধ ব্যাখ্যা । কিন্তু তাহার নিত্যসঙ্গী এই দৈববাণীটী যে কি, তৎসম্বন্ধে বিস্তাব মতভেদ রহিয়াছে। সোক্রেটাস নিজে ইহাকে কায়া প্ৰদান করেন নষ্ট । তিনি “আত্মসমর্থনেব।” একস্থলে বলিতেছেন, “আমি আজীবন দৈব ইঙ্গিত পাইয়া আসিতেছি ; এতদিন উহা নিয়তই আমাব সঙ্গে সঙ্গে থাকিত, এবং আমি যদি অতি তুচ্ছ বিষয়েও অন্যায় করিতে উদ্যত হাইতাম, তবে প্ৰতিবাদ করিত।” ( Apology, 31 )। এই উক্তি হইতে আমরা দেখিতে পাইতেছি, যে প্লেটোর মতে সোক্রোটীসের দৈববাণী নিবৰ্ত্তকরূপে তঁহাকে পরিচালিত করিত, কখনও কোনও কাৰ্য্যে তাহাকে প্ৰবৰ্ত্তিত করিত না । “থেয়াগীস” নামক প্ৰবন্ধেও উপদেবতা “অন্তৰ্যামী’ বা নিষেধকারী বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। উহাতে সোত্ৰাটীস বলিতেছেন, “এই বাণী যখনই আবির্ভূত হয়, তখনই আমি যাহা করিতে যাইতেছি,