পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারলে তো কথাই ছিল না । তার কাজ করার এবং উপার্জনের অধিকার অন্যে চুরি করেছে বলেই তার চুরিটা চুরি নয়, এটা শুধু হাস্যকর অজুহাত কেন, নৈতিক যুক্তই নয় রাখালের কাছে। যে স্বাৰ্থ চুরি-চামারিকে প্রশ্ৰয় দিয়ে বাড়িয়েছে শতগুণ সেটাই যে আবার সংগ্রামের পথে সাধারণ মানুষের বীর মানুষ হওয়ার রেট লক্ষগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, এ দিকটা ভুললে চলবে কেন তার ? ছাঁটাই হয়ে বেকার হয়ে বছর দেড়েক সেও কি অংশ নেয় নি এই বঁাচার সংগ্রামে ? অন্যায়কে নিজের অন্যায়ের কৈফিয়ৎ দাড় করাবার ফাকি द्रार्थव्ज ऊigन्म । কোন নৈতিক সমর্থনই সে সৃষ্টি করে নি নিজের কাজের। সমস্ত কাহিনী শুনে কেউ যদি তাকে চোর বলে, সে প্ৰতিবাদ করতে যাবে না । এইটাই তার দশজনের হিসাবে নিজেকে চোর মনে করার মানে । তার নিজের হিসাবের মানেটা খুব সোজা। বিশুর মা’র গয়না সে চুরি করে নি, শুধু সাময়িকভাবে ব্যবহার করতে নিয়েছে। ঋণ হিসাবে নিয়েছে । প্রচুর গয়না আছে বিশুর মার। একেবারে অকেজো অনাবশ্যক মাটির ঢেলার মতই রাশি কৃত সোনা তোরঙ্গে পড়ে। আছে । এই সামান্য ক্ল’খানা গয়নার অভাব টেরও পাবে না। বিশুর মা । না জানিয়ে চুপি চুপি নিয়েছে। কিন্তু আর কি উপায়