পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছরে-হাজারগুণ বেশী জুটত তোর। কিন্তু মানুষের দুৰ্ম্মতি হলে সে কি বঁাকা পথ ছাড়া চলে ? রাখাল সাগ্রহে বলে, ওরকম একটা প্ল্যান করুন না ? ? রাজীব মনে মনে বলে, এই রোগেই তো ঘোড়া মরে । রাতারাতি বড়লোক হতে না চাইলে বিদ্বান বুদ্ধিমান মানুষটা তুমি এমন বোকার মত কথা বল । মুখে বলে, কি নিয়ে প্ল্যান করব বলুন ? ওর সুযোগ সুবিধা ছিল-ক্ষমতাওলা লোকের সাথে পৰ্য্যন্ত যোগাযোগ ঘটেছিল। সম্ভব অসম্ভব অবস্থা বিবেচনা করে তবে তো প্ল্যান করা চলে ? আমাদের না আছে টাকার সম্বল, না আছে অন্য সম্বল। কি দিয়ে প্ল্যান করবেন ? রাখালের মুখে হতাশা ঘনাতে দেখে রাজীবও দমে যায়। রাখালের সাহায্যেই নতুন দোকানটা খোলা সম্ভব হয়েছে বটে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাখালকে সে ভয় করতে সুরু করেছে ! ধাতটা হল ভদ্রলোকের, চাকরে মানুষের। খেয়ালের বশে দোকানটাকে সেই আবার ডুবিয়ে না। দেয়! বাসন্তী বলে, এ আবার কি ধিঙ্গিাপনা লো ? এ সব কি শুনছি ? খুব নাকি কর্তালি সুরু করে কর্তাকে নেশায় फूटदाष्छ ?

কার কাছে শুনিলি ?

ঃঃ আমি আবার কার কাছে শুনিব, গোরস্ত ঘরের বেী ? যার কাছে শোনার কথা তার কাছেই শুনেছি। Ybr 3)