পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবে কেউ ঠকাচ্ছে না ? তোমার মতামতের স্বাধীনতা আছে, সেটা প্ৰকাশ করার স্বাধীনতা আছে-কিন্তু যেখানে তোমার স্বামীর মৰ্য্যাদার প্রশ্ন সেখানে স্বামীর স্বার্থটাই তুমি দেখবে আগে । সেদিনের সভায় আমার জন্য তোমার মাথাব্যথা দেখা যায় নি, এটাই আসল কথা । আমার প্রভাব প্ৰতিপত্তি বাড়ার বদলে কমে যাক, আমি ছোট হই দশজনের কাছে, সেজন্য তোমার এতটুকু মাথা ব্যথা নেই। রাখাল একটু থেমে যোগ দেয়, তুমি ভাবিছ একদিনের একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি। সামান্য ব্যাপার নয়। সেদিন আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি আমার সমস্ত স্বাৰ্থই তুচ্ছ হয়ে গেছে তোমার কাছে। আমি নাম করব, টাকা করব শুধু এই স্বাৰ্থ নয়-তাহলেও একটু ভরসা। থাকত । আমার বদনাম হলে যে তোমারও লজ্জা, আমি পয়সা না কামালে যে তুমিও উপোস করবে, তাও তুচ্ছ হয়ে গেছে তোমার কাছে । আমি আর স্বামী নই তোমার কাছে । একটা অভ্যাস টেনে চলছি, নিয়ম রক্ষা করছি, এই মাত্র । সাধনা অনেকক্ষণ চুপ করে থাকে। ; তুমি আর স্বামী নেই মানে তোমার জন্য আমার ভালবাসা নেই ? ঃ ভালবাসা ? ভালবাসা আছে কি নেই সে আলাদা কথা, স্বামী স্ত্রী না হয়েও ভালবাসা নিয়ে মানুষ একসাথে থাকে। তাদের কথাও আলাদা । আমি বলছি, আমরা স্বামী স্ত্রী, একটা বাস্তব সামাজিক সম্পর্ক আছে আমাদের । সমাজটা 》分心