পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপলাবণ্যময়ী সাধনা এই ক’বছরে রোগ হয়ে কালচে মেরে লাবণ্য হারিয়ে কী দাড়িয়েছে সেটা শুধু সে-ই চোখ দিয়ে দেখছে তাই ভাল। তার সহ্যু হয় । বড় আয়নায় আগে নিজেকে নিজের চোখে দেখে রাখলে আজ সেই আয়নায় নিজেকে দেখে সাধনা নিশ্চয় পাগল হয়ে যেত । তুমি পায়েস খাবে না ? ঃ এক পেট খেয়ে এসেছি। এত পায়েস কি করব । নষ্ট করার চেয়ে বিলিয়ে দেওয়াই ভালো ! খোকাকে একটু ধরবে, পাঁচ মিনিট ? ঃ দেরী করে না। কিন্তু । সাধন হাসিমুখেই বলে, কেন, আপিস আছে নাকি তোমার ! মুখে তার হাসি দেখতে পায় বলেই অগত্যা রাখাল চুপ করে থাকে, নইলে হয়তো রাগের চোটে আবার একটা কড়া কথা বলে বসন্ত । তার দোকান সম্পর্কে সাধনার অবজ্ঞা আর উদাসীনতা মাঝে মাঝে গায়ে তার জ্বালা ধরিয়ে দেয় । কারবারের YBD SD DB DD BD BBBDB SB D BB DDD জানল সাধনা ৷ এই দোকানের কল্যাণে বীভৎস দারিদ্র্যের কবল থেকে উদ্ধার পেয়েছে, এটা কি খেয়াল থাকে না তার ? এমন অনায়াসে অবজ্ঞাভরে বলতে পারে যে দোকানে যাবে সেজন্য আবার তাড়া কিসের ?