পাতা:সোনার চেয়ে দামী (দ্বিতীয় খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৰ্তাকর্তা বিধাতা । আধঘণ্টা হাওয়া খেতে গেলে তাই মেজাজে আগুন ধরে যায় । হাওয়া খেতে গেছিলি ? বলে গেছিলি, আমি আধঘণ্টা হাওয়া খেতে গেলাম ? কাজে বেরোবে মানুষটা, একটু ধরে বলে ছেলেকে চাপিয়ে দিয়ে গেলি উধাও হয়ে । রাগ তো করবেই মানুষটা, একশোবার করবে। নিজেই তো বুঝিাস রাগ করবে। নিজেই তো তুই ইচ্ছে করে রাগিয়েছিস । বলতে বলতে আবেগে উত্তেজনায় থম থম করে বাসন্তীর মুখ। এ পৰ্য্যন্ত কখনো সাধনা তার এরকম ভাবান্তর ঘটতে দেখে নি। কড়া সুরে বাসন্তী বলে, ওই এক ধূয় উঠেছে শুনি, আমরা নাকি দাসী বঁাদী। যতই সুখে রাখুক সোহাগ করুক, আসলে আমরা চাকরানী ! ওনারাই কত্তা, মালিক, খুন্সী হলে মাথায় রাখেন খুলী হলে পায়ের নীচে মাড়ান। এমনি হই বা ন হই, আসলে দাসী বঁাদী ! এ আসল আবার কিরে বাবা । বেশ তো, দাসী হলে দাসী, বঁাদী হলে বাদী-তাই যদি রীতি হয় সংসারের, তাই সই ! তা নিয়ে মাথায় ঘা করে আর করছি কি ? কিন্তু সব নাকি ওনাদের খুসীতে হয় । আমরা কিনা পুতুল, ওনাদের হুকুমে উঠি বসি, খুন্সী অখুলী খাটাই না মোটে । এমন ছিষ্টিছাড়া ইন্তিরি তো সংসারে দেখি নি ভাই! সবাই আমরা খুলী খাটাই, কর্তালি করি। আমরা মেয়েমানুষ, মেয়েমানষের কায়দায় আমরা cखांद्र थांप्रेझे । t