পাতা:সৌন্দর্য্য তত্ত্ব - অভয় কুমার গুহ.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌজােৰ্য্যয় স্বরূপ। Y8) শুধু তাঁহাই নহে। পণ্ডিতগণ বলেন, প্রত্যেক মনোভাব প্ৰকাশ 夺引讯叹哥 vet cका, .c, čaja, মেহ, উৎসাহ, Vs, फैझांत्र প্রভৃতি যাবতীয় চিত্তৰিকারেরই সুর আছে। আলঙ্করিকগণাকথিত নৰরিসেরই সুর আছে। কণ্ঠভঙ্গীতে সেই সুর উচ্চারিত হইলে রসের সঞ্চার হয়। কোন সুর করুণ রসের উদয় করে, কোন সুর ক্লোখের উদয় করে, কোন সুর বীররসের উদয় করে, কোন সুর শৃঙ্গার রসের উদয় করে। সুতরাং শব্দের মাধুৰ্য্য আছে, রস প্ৰকাশ করার ক্ষমতা আছে, ইহা কোন প্রকারে অস্বীকার করা যায় না। আমরা দেখিয়াছি যে, কণ্ঠসংযোগ হইতে উৎপন্ন শব্দের নাম বর্ণ। প্ৰয়োগাৰ্হানন্বিত একাৰ্থবোধক বৰ্ণকে পদ বলে । * যোগ্যতা, আকাজক্ষা, আসক্তিযুক্ত পদোচ্চয়কে বাক্য বলে । বাক্য, যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও আসক্তি জ্ঞাপক। সুতরাং বাক্যে মাধুৰ্য আছে ইহা বলা বাহুল্য মাত্র। বাক্যে মাধুৰ্য আছে বলিয়াই শিশুর আধ-আধা কথা মিষ্ট লাগে, সুন্দরী স্ত্রীলোকের কণ্ঠস্বর মিষ্ট লাগে, বক্তার কণ্ঠধবনিতে চিত্ত উদ্বেজিত করিয়া দেয়। 刺 ইহা ব্যতীত প্ৰস্তর, মৃত্তিকা প্ৰভৃতি সৌন্দৰ্য্যের অন্যান্য উপকরণেরও রস প্রদানের ক্ষমতা আছে। প্ৰাকৃত উপকরণের সৌন্দৰ্য্য না থাকিলে প্ৰাকৃত উপকরণের সাহায্যে কখনই রস প্ৰকাশ করা যাইতে পারিত না । পূর্বে যাহা বলা হইল তাহা হইতে বুঝা যায় যে, সৌন্দর্ঘ্যের প্রাকৃত উপকরণের সৌন্দৰ্য্য প্রদানের ক্ষমতা আছে। কোন কোন পণ্ডিত স্বর, বর্ণ প্ৰভৃতি প্ৰাকৃত উপকরণের সৌন্দৰ্য্য মনের কাৰ্য্য বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে সচেষ্ট হইয়াছেন। যাহারা প্ৰাকৃত উপকরণ রাশির সৌন্দৰ্য্যকে

  • বর্ণাঃ পদং প্রয়োগাৰ্হানন্বিতৈকাৰ্থবোৰকাঃ। সাহিত্যাদর্পণ

বাক্যং স্থাৎ যোগ্যতাকাজাকাসক্তিযুক্তঃ পদোচ্চয়ঃ। সাহিত্য পর্ণ