পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য কিন্তু এ ত গেল theoryর দিক দিয়ে, আদর্শ-বাদের দিক্ দিয়ে । এর মধ্যে হয়ত তত বিবাদ নেই। কিন্তু কবির মধ্যে, artistএর মধ্যে, অর্থাৎ তার নিজের মধ্যেই যেখানে একটা ছোট মানুষ থাকে হাঙ্গামা বাধে তাকে নিয়ে। এখানে লোভ, মোহ, যশ: নিন্দে, prejudice, সংস্কার মাঝে মাঝে এমন কুহেলিক গড়ে তোলে যে, তার অন্ধকার আশ্রয়েই অনেক fraud, অনেক উৎপাত ঢুকে গিয়ে দারুণ উপদ্রবের ভিত্তিস্থাপন করে । এই খানেই হ’ল অসত্য এবং অকল্যাণের দ্বার। এই আঁধারে অধিকারী এবং অনধিকারী, কবি এবং অকবি, স্বন্দর ও কুৎসিত, কাব্য এবং নোঙরামিতে মিলে যে মন্থন মুরু করে দেয়, তার কাদাই ছিটুকে উঠে নিৰ্ব্বিচারে সকলের মুখে পাক মাখিয়ে দেয়। এ কাদা ধুয়ে দিতে পারে শুধু কাল । এর হাতেই শুধু অনাগত ভবিষ্কৃতে শুদ্ধ ও স্নাত হয়ে সত্যবস্তু মাহুষের চোখে পড়ে। এই জন্যই বোধ হয় কবির মধ্যে যে অংশটুকু তার কবি, এই চরম বিচারের প্রতীক্ষা করতে তার বাধে না, কিন্তু যে টুকু তার ছোট্ট মানুষ তারই কেবল সবুর সয় না। সে কলহ করে, বিবাদ করে, দল পাকায়, হাতনাগাদ নগদ মূল্য চুকিয়ে না নিলেই তার নয়। সাময়িক কাপজপত্রে এই স্থানটাই তার বার বার ঘুলিয়ে ওঠে। পূজ্যপাদ রবীন্দ্রনাথ বলেন, তিনি স্কুল-মাষ্টার নন,—তিনি কবি । বেত হাতে ছেলে মাহ কর তার পেশা নয়) এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যক্ত এবং অব্যক্ত কটুকথার বিরাম নেই। কটুকথার মালিক যারা র্তারা বোধ করি কবির উক্তির এইরূপ অর্থ করেন যে, যেহেতু তিনি বেত হাতে ছেলে মানুষ করতে সম্মত নন, গল্পচ্ছলে ভুলিয়ে বুড়ো ছেলেদের নীতিশিক্ষা দিতে চান না, তখন নিশ্চয়ই তার ছেলে বইয়ে ԳՆ,