পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্মই উপাসন। * $&& পারেন না। আমরা অল্পবিস্তর নাস্তিক । আমরা ঈশ্বরকে দেখিতে পাই না, র্তাহার প্রতি আমাদের বিশ্বাসও নাই। তিনি আমাদের নিকট কথার কথা মাত্র, অর্থাৎ ঈশ্বর এই শব্দমাত্র, ইহার বেশী কিছু নন। অনেক সময় আমরা মনে করি যে, তিনি আমাদের অতি নিকট, কিন্তু তারপর আবার পূর্বাবস্থায় পতিত হই। র্তাহার সাক্ষাৎকার হইলে কে কাহার জন্ত কর্ম করিবে ? ঈশ্বরকে সাহায্য করা ! আমাদের ভাষায় একটি প্রসিদ্ধ উক্তি আছে, যাহার অর্থ ; বিশ্বকর্মীকে কি শিখাইতে হইবে, কি করিয়া স্বষ্টি করিতে হয় ? সুতরাং মানবজাতির মধ্যে র্তাহারাই শ্রেষ্ঠ, র্যাহার কোন কর্ম করেন না। অতঃপর যখন তোমরা জগৎ সম্বন্ধে এবং ভগবানকে আমরা কিরূপে সাহায্য করিতে পারি, তাহার জন্য ইহা করিতে পারি, উহা করিতে পারি ইত্যাদি মূখের মতে কথাগুলি শুনিবে, তখন ঐ উক্তি মনে রাখিও। এইরূপ কোন চিন্তাই যেন তোমাদের ভিতরে স্থান না পায়। এগুলি অত্যন্ত স্বাখৰুদ্ধিপ্রণোদিত। তুমি যে-সকল কর্ম কর, সবই তোমার নিজের জন্য, এগুলি তোমার নিজের উপকার হুইবে বলিয়াই করিয়া থাকে। ঈশ্বর এমন কিছু খানায় পড়িয়া যান নাই যে, তুমি বা আমি একটি হাসপাতাল বা অনুরূপ : কিছু নির্মাণ করিয়া তাহার সাহায্যের জন্য অগ্রসর হইব । তিনি তোমাকে কর্মের সুযোগ দিয়াছেন। তাহার এই বিরাট ব্যায়ামশালায় তোমার পেশীসমূহ চালনা করিবার জন্যই তিনি তোমাকে সুযোগ দিয়াছেন, তাহাকে সাহায্য করিবার জন্য নয় ; তুমি যাহাতে নিজেকে সাহায্য করিতে পারে, এইজন্য। তুমি কি মনে কর যে, একটি পিপীলিকাও তোমার সাহায্য ব্যতীত মরিয়া যাইবে ? ইহা পুরাদপ্তর ঈশ্বরনিন্দ | জগৎ তোমার কোন প্রয়োজনই বোধ করে না। জগৎ চলিতে থাকিবে--তুমি এই মহাসমুদ্রে একটি বারিবিন্দু মাত্র। র্তাহার ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না—বাতাস বহিতে পারে না। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা তাহার ঈপ্সিত কর্ম করিবার স্নযোগ লাভ করিয়াছি—র্তাহাকে সাহায্য করিবার জন্ত নয় । ‘সাহায্য’ এই শব্দটি তোমরা মন হইতে মুছিয়া ফেলো। সাহায্য তুমি করিতে পার না। এরূপ বলা ঈশ্বরের নিন্দ করা। তাহার কৃপাতেই তোমার অস্তিত্ব --তুমি কি মনে কর, তুমি তাহাকে সাহায্য করিতেছ ? তুমি তাহার "পাসনা করিতেছ। যখন কুকুরকে একটুকরা খাবার দাও, তখন ঐ