পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-পদ \oግ¢ জয়মেকত্রে সংযমঃ ॥ ৪ ॥ –এই তিনটি যখন একত্র অর্থাৎ একই বস্তুর সম্বন্ধে অভ্যস্ত হয়, তখন তাহাকে ‘সংযম বলে । যখন কেহ তাহার নিজের মনকে কোন নির্দিষ্ট দিকে লইয়া গিয়া কোন বস্তুর উপর স্থির করিতে পারেন, পরে অন্তর্ভাগ হইতে বাহ বস্তু পৃথক করিয়া তাহার উপর মনকে অনেকক্ষণ রাখিতে পারেন, তখনই সংষম হইল। অর্থাং ধারণা, ধ্যান ও সমাধি—এইগুলি একটির পর একটি ক্রমান্বয়ে এক বস্তুর উপরে অভ্যস্ত হইয়া একত্র হয়। তখন বস্তুর বাহ আকার অস্তৰ্হিত হয়, মনে তাহার অর্থমাত্র অবশিষ্ট থাকে। ভজয়াৎ প্রজ্ঞালোকঃ ৷ ৫ ৷ –এই সংযমের দ্বারা যোগীর মনে জ্ঞানালোকের প্রকাশ হয়। যখন কেহ এই সংযমসাধনে কৃতকার্য হয়, তখন সমুদয় শক্তি তাহার আয়ত্ত হয়। এই সংযমই যোগীর জ্ঞানলাভের প্রধান যন্ত্র। জ্ঞানের বিষয় অনন্ত । উহার স্কুল, স্থূলতর, স্থূলতম, সুক্ষ্ম, সূক্ষ্মতর, সূক্ষ্মতম ইত্যাদি নান৷ বিভাগে বিভক্ত। এই সংযম প্রথমতঃ স্থূল বস্তুর উপর প্রয়োগ করিতে হয়, আর যখন স্কুলের জ্ঞানলাভ হইতে থাকে, তখন একটু একটু করিয়া স্তরে স্তরে উহা সূক্ষ্মতর বস্তুর উপর প্রয়োগ করিতে হইবে। ভস্ত ভূমিষু বিনিয়োগঃ ॥ ৬ ॥ –এই সংযম সোপানক্রমে প্রয়োগ করা উচিত। খুব দ্রুত যাইবার চেষ্টা করিও না, এই স্বত্র এইরূপ সমাধান করিয়৷ দিতেছে। ত্রয়মন্তরঙ্গং পূর্বেভ্য: ॥ ৭ ॥ –এই তিনটি পূর্বকথিত সাধনগুলি অপেক্ষা আরও অন্তরঙ্গ সাধন। পূর্বে যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম ও প্রত্যাহারের বিষয় কথিত হইয়াছে। উহারা ধারণা, ধ্যান ও সমাধির তুলনায় বহিরঙ্গ। এই ধারণাদি অবস্থা লাভ করিলে মানুষ সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান হইতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞতা বা সর্বশক্তিমত্তা তো মুক্তি নয়। ঐ ত্ৰিবিধ সাধন দ্বার। মন