পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼbrᏬ স্বামীজীর বাণী ও রচনা ছাড়া অন্যান্য প্রদেশে কপনি-মাত্র থাকলেই শরীর ঢাকার কাজ হ’ল, কিন্তু পাগড়িটা চাই ; প্রাচীনকালেও তাই ছিল—মেয়ে-মদে। বৌদ্ধদের সময়ের যে সকল ভাস্কর্যমূর্তি পাওয়া যায়, তারা মেয়ে-মদ্ধে কৌপীন-পর। বুদ্ধদেবের বাপ কপনি পরে বসেছেন সিংহাসনে ; তদ্বৎ মাও বসেছেন-বাড়ার ভাগ, এক-পা মল ও এক-হাত বালা ; কিন্তু পাগড়ি আছে ! সম্রাট ধর্মাশোক ধুতি প’রে, চাদর গলায় ফেলে, আদুড় গায়ে একটা ডমরু-আকার আসনে ব’সে নাচ দেখছেন ! নর্তকীরা দিব্যি উলঙ্গ ; কোমর থেকে কতকগুলো ন্যাকড়ার ফালি ঝুলছে। মোদী পাগড়ি আছে। নেবু টেবু সব ঐ পাগড়িতে । তবে রাজসামন্তর ইজার ও লম্বা জামা পরা–চোস্ত ইজার ও চোগা । সারথি নলরাজ এমন রথ চালালেন যে, রাজা ঋতুপর্ণের চাদর কোথায় পড়ে রইল ; রাজা ঋতুপর্ণ অাদুড় গায়ে বে করতে চললেন । ধুতি-চাদর আর্যদের চিরন্তন পোশাক, এইজন্যই ক্রিয়াকর্মের বেলায় ধুতি-চাদর পরতেই হয়। প্রাচীন গ্রীক ও রোমানদের পোশাক ছিল ধুতি-চাদর ; একথান বৃহৎ কাপড় ও চাদর—নাম 'তোগা’, তারি অপভ্রংশ এই ‘চোগা'। তবে কথন কখন একটা পিরানও পরা হত। যুদ্ধকালে ইজার জামা । মেয়েদের একটা খুব লম্বাচোঁড়া চারকোন জামা, যেমন দুখানা বিছানার চাদর লম্বালম্বি সেলাই করা, চওড়ার দিক খোলা । তার মধ্যে ঢুকে কোমরটা বাধলে দুবার— একবার বুকের নীচে, একবার পেটের নীচে । তারপর উপরের খোলা দুপাট দুহাতের উপর দু জায়গায় তুলে মোটা ছুচ দিয়ে আটকে দিলে—যেমন উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ীরা কম্বল পরে। সে পোশাক অতি সুন্দর ও সহজ। ওপরে একখান চাদর । কাটা কাপড় এক ইরানীরা প্রাচীনকাল হ’তে পরত বোধ হয় চীনেদের কাছে শেখে । চীনেরা হচ্ছে সভ্যতার অর্থাৎ ভোগবিলাসের সুখস্বচ্ছন্দতার আদগুরু । অনাদি কাল হ’তে চীনে টেবিলে খায়, চেয়ারে বসে যন্ত্র তন্ত্র কত খাওয়ার জন্য, এবং কাটা পোশাক নানা রকম, ইজার-জাম টুপিটাপ পরে। " সিকন্দর শ৷ ইরান জয় করে, ধুতি-চাদর ফেলে ইজার পরতে লাগলেন। তাতে তার স্বদেশী সৈন্যরা এমন চটে গেল ষে বিদ্রোহ হুবার মতো হয়েছিল। মোদ সিকনার নাছাড় পুরুষ—ইজার-জামা চালিয়ে দিলেন।