প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ఫెv: ইউরোপে ইতালির পুনর্জন্ম গিয়ে লাগলো বলবান অভিনব মৃতন ফ্র। জাতিতে। চারিদিক হ’তে সভ্যতার ধারা সব এসে ফ্লরেন্স নগরীতে একত্র হয়ে নূতন রূপ ধারণ করলে ; কিন্তু ইতালি জাতিতে সে বীর্যধারণের শক্তি ছিল না, ভারতের মতো সে উন্মেষ ঐখানেই শেষ হয়ে যেত, কিন্তু ইউরোপের সৌভাগ্য, এই নূতন ফ্রণ জাতি অাদরে সে তেজ গ্রহণ করলে। নবীন রক্ত, নবীন জার্ত সে তরঙ্গে মহাসাহসে নিজের তরণী ভাসিয়ে দিলে, সে স্রোতের বেগ ক্রমশই বাড়তে লাগলো, সে এক ধারা শতধারা হয়ে বাড়তে লাগলো ; ইউরোপের আর আর জাতি লোলুপ হয়ে খাল কেটে সে জল আপনার আপনার দেশে নিয়ে গেল এবং তাতে নিজেদের জীবনীশক্তি ঢেলে তার বেগ, তার বিস্তার বাড়াতে লাগলো, ভারতে এসে সে তরঙ্গ লাগলো ; জাপান সে বন্যায় বেঁচে উঠল, সে জল পান ক’রে মত্ত হয়ে উঠল ; জাপান আশিয়ার নূতন জাত । পারি ও ফ্রাস এই পারি নগরী সে ইউরোপী সভ্যতা-গঙ্গার গোমুখ । এ বিরাট রাজধানী মর্ত্যের অমরাবতী, সদানন্দ-নগরী । এ ভোগ, এ বিলাস, এ আনন্দ—ম! লগুনে, না বার্লিনে, না আর কোথায় । লগুনে, নিউইয়র্কে ধন আছে ; বার্লিনে বিদ্যাবুদ্ধি যথেষ্ট ; নেই সে ফরাসী মাটি, আর সর্বাপেক্ষা নেই সে ফরাসী মানুষ । ধন থাক, বিদ্যাবুদ্ধি থাক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও থাক—মানুষ কোথায় ? এ অদ্ভূত ফরাসী চরিত্র প্রাচীন গ্ৰীক ম'রে জন্মেছে যেন—সদা আনন্দ, সদা উৎসাহ, অতি ছ্যাবলা আবার অতি গম্ভীর, সকল কাজে উত্তেজনা, আবার বাধা পেলেই নিরুৎসাহ । কিন্তু সে নৈরাশু ফরাসী মুখে বেশীক্ষণ থাকে না, আবার জেগে ওঠে । এই পারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের আদর্শ। দুনিয়ার বিজ্ঞান সভা এদের একাডেমির নকল ; এই পারি ঔপনিবেশ-সাম্রাজ্যের গুরু, সকল ভাষাতেই যুদ্ধশিল্পের সংজ্ঞা এখনও অধিকাংশ ফরাসী ; এদের রচনার নকল সকল ইউরোপী ভাষায় ; দর্শন বিজ্ঞান শিল্পের এই পারি খনি, সকল জায়গায় এদের নকল । এরা হচ্ছে শহুরে, আর সব জাত যেন পাড়াগেয়ে । এরা যা করে তা ৫০ বৎসর, ২৫ বৎসর পরে জার্মান ইংরেজ প্রভৃতি নকল করে, তা বিস্তায় হোক ు• v)
