পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রাবলী ২৯৭ ভাল লাগিল না—স্থান, কাল ও সঙ্গ। কাল কাশী চলিলাম। দেওঘরে অচ্যুতানন্দ —’র বাসায় ছিল । সে আমাদের সংবাদ পাইয়াই বিশেষ আগ্রহ করিয়া রাখিবার জন্য বড় জিদ করে। শেষে আর একদিন দেখা হইয়াছিল— ছাড়ে নাই। সে বড় কর্মী, কিন্তু সঙ্গে ৭৮ টা স্ত্রীলোক বুড়ী, জয় রাধে কৃষ্ণই অধিক—রুচি ভাল, শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গের মহিমা! তাহার কর্মচারীরাও আমাদের অত্যন্ত ভক্তি করে। তাহারা কেহ কেহ উহার উপর বড় চটা, তাহারা তাহার নানাস্থানের দুষ্কর্মের কথা কহিতে লাগিল । প্রসঙ্গক্রমে আমি ‘–’র কথা পাড়িলাম। তোমাদের তাহার সম্বন্ধে অনেক ভ্রম বা সন্দেহ আছে, তজ্জন্যই বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া লিখিতেছি । তাহাকে এখানকার বৃদ্ধ কর্মচারীরাও বড় মান্ত ও ভক্তি করে। তিনি অতি বালিকাঅবস্থায় ‘—’র কাছে অগসিয়াছিলেন, বরাবর স্ত্রীর ন্যায় ছিলেন । এমন কি, ‘—’র মন্ত্রগুরু ভগবানদাস বাবাজীও জানিতেন যে, তিনি উহার স্ত্রী। তাহারা বলে, উহার মা তাহাকে —’র কাছে দিয়া গিয়াছিল। যাহা হউক, তাহার এক পুত্র হয় ও মরিয়া যায় এবং সেই সময়ে – কোথা হইতে একটা ‘জয় রাধে কৃষ্ণ’ বামনী আনিয়া ঘরে ঢোকায়, এই সকল কারণে তিনি তাহাকে ফেলিয়া পলাম । যাহা হউক, সকলে একবাক্যে স্বীকার করে যে, তাহার চরিত্রে কখন কোন দোষ ছিল না, তিনি অতি সতী বরাবর ছিলেন এবং কখন স্ত্রীস্বামী ভিন্ন –র সহিত অন্য কোন ব্যবহার বা অন্ত কাহারও প্রতি কু-ভাব ছিল না। এত অল্প বয়সে আসিয়াছিলেন যে, সে সময়ে অন্য পুরুষ-সংসর্গ সম্ভবে না । তিনি ‘–’র নিকট হইতে পলাইয়া যাইবার পর তাহাকে লেখেন যে, আমি কখনও তোমাকে স্বামী ভিন্ন অন্য ব্যবহার করি নাই, কিন্তু বেশ্বাসক্ত ব্যক্তির সহিত আমার বাস করা অসম্ভব। ইহার পুরাতন কর্মচারীরাও ইহাকে শয়তান ও তাহাকে দেবী বলিয়া বিশ্বাস করে ও বলে, “তিনি যাবার পর হইতেই ইহার মতিচ্ছন্ন হইয়াছে।’ এ-সকল লিখিবার উদেশ্ব এই যে, তাহার বাল্যকালসম্বন্ধী গল্পে আমি পূর্বে বিশ্বাস করিতাম না । এ-সকল ভাব, সমাজে যাহাকে বিবাহ বলে না, তাহার মধ্যে এত পবিত্রতা—আমি romance ( কাল্পনিক ) মনে করিতাম, কিন্তু বিশেষ অনুসন্ধানে জানিয়াছি, সকল ঠিক। তিনি অতি পবিত্র, আবাল্য, পবিত্র, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই। ঐ সকল সন্দেহের জন্ত আমরা