পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVS IV স্বামী বিবেকানন্দ Σε κ\Sς অংশ-সবই তিনি। সংসারের সকল ব্যক্তিকে যদি সে ঐশ্নরূপে শিবজ্ঞান করিতে পারে, তাহা হইলে আপনাকে বড় ভাবিয়া তাহাদিগের প্রতি রাগ, দ্বেষ, দন্ত, অথবা দয়া করিবার তাহার অবসর কোথায় ? ঐ রূপে শিবজ্ঞানে জীবের সেবা করিতে করিতে চিত্ত শুদ্ধ হইয়া সে অল্পকালের মধ্যে আপনাকেও চিদানন্দময় ঈশ্বরের অংশ, শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত-স্বভাব বলিয়া ধারণা করিবে।” এই বলিয়া দেখাইলেন, ঠাকুরের ঐ কথায় শুধু জ্ঞােমমার্গ নহে, ভক্তি, কৰ্ম্ম, রাজযোগাদি সকল মার্গের লোকই বিশেষ আলোক পাইবেন।” নরেন্দ্রর সহিত সাক্ষাতের কিঞ্চিদধিক চারিবৎসর পরে পরমহংসুদেবের গলাভ্যন্তরে ‘ক্যানসার’ (কৰ্কট রোগ) নামক ক্ষত হয় ও তন্নিবন্ধন তিনি . চিকিৎসাৰ্থ প্রথমে কলিকাতা শ্যামপুকুর স্ত্রীটে ও তাহার কিছুদিন পর কাশীপুরের বাগানে আনীত হন। ইহারাষ্ট্রপ্রায় আট মাসকাল পরেই তিনি দেহত্যাগ করেন। শেষের এই কয়মাস। তঁহার গৃহস্থ- डडार्षि श्रृन র্তাহার চিকিৎসাদি ব্যাপারের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত থাকিতেন *এবং শশী প্রভৃতি কয়েকজন যুবকভক্ত প্ৰাণপণে র্তাহার সেবা-শুশ্রুষা করিবার জন্য সতত তৎসান্নিধ্যে অবস্থান করিতেছিলেন। নরেন্দ্ৰই এই সকল যুৱক সেবকগণের অগ্রণী ছিলেন। এই সময়েই কলিকাতার শিক্ষিত ও সন্ধান্ত ব্যক্তিবর্গ, বিশেষভাবে পরমহংসদেরকে জানিবার সুযোগ প্রাপ্ত হন এবং কঠিন ও ক্লেশকর পীড়াসত্ত্বেও পরমহংসদেব সতত তাঁহাদিগকে ধৰ্ম্মবিষয়ে উৎসাহ প্ৰদান করিতেন। এমন কি এজন্য সময়ে সময়ে তাহার ব্যাধি বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইত, কিন্তু চিকিৎসকগণের পুনঃ পুনঃ নিষেধ সত্ত্বেও তিনি জগৎ-কল্যাণ সাধনে বিরত থাকিতে পারিতেন না। নরেন্দ্রাদি যুৱক ভক্তগণের ভিতর বৈরাগ্য, নিরভিমানিত্ব প্রভৃষ্ঠা জাগাইয়া তুলিবার জন্য শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব-মাঝে মাঝে তাহাদিগকে সমীপস্থা । গ্রামে ভিক্ষা করিয়া “মাধুকরী’ করিতে আদেশ করিতেন এবং প্তাহারাষ্ট্ররূপ