পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

భ్య* বরাহনগর মঠে তপস্যা । বরাহনগর মঠে অবস্থানকালে এই সুন্ন্যাসী-সম্প্রদায় প্রকৃত একনিষ্ঠ ঔপশ্চৰ্য্যার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। সেখানে প্রত্যহ যে কি সুখের হিল্লোল প্রবাহিত ও আনন্দের কলতান উত্থিত হইত। তাহা লেখনী কি ব্যক্ত করিবে ! সুৰ্য্যোদয় অবধি সুৰ্য্যাস্ত পৰ্য্যন্ত অবিরাম সংকীৰ্ত্তন হইতেছে, কাহারও ক্ষুধাতৃষ্ণ, ক্লাস্তিবােধ বা বিশ্রামের আকাঙ্ক্ষা নাই; ব্যাকুল ঈশ্বর-দৰ্শনলালসী দাবাগ্নির ন্যায় প্রত্যেকের হৃদয়ে * প্ৰজ্বলিত, নরেন্দ্রাদি কেহ কেহ প্রয়ােপীবেশনে তনুত্যাগ করিতেও কৃতসংকল্প। যে দিন যেমন জুটিত সে দিন সেইরূপ আহার হইত। স্বামীজি স্বয়ং ধ্রুকু সময়ে বলিয়াছিলেন, “বরাহনগরে এমন কতদিন পুঁখ্রিয়াছে যে খাবার কিছুই নাই, ভাত জোটে তামুন জোটে না। দিনকতক হয়ত, শুধু নুন-ভাত চললো, কিন্তু কাহারও-গ্ৰন্থ নাই। জপ ধ্যানূের-প্রবল তোড়ে তখন আমরা ভঁসৃছি। কখন কখন শুধু তেলাকুচা পাতা সিদ্ধ ও নুন-ভাত-এই মাসাবধি চলছে।”আহা সে সব কি দিনই গেছে। সে কঠোরতা দেখলে ভূত পালিয়ে যেত, মানুষের . ஜ் কথা কি ?” খাওয়া-দাওয়ার ত এই অবস্থা। তার উপর লোকজন নাই, ” সুতরাং, ঘর ঝাঁট দেওয়া, বাসন মাজা, জল তােলা—এমন কি মাঝে মাঝে রন্ধনাদি পৰ্যন্ত मंकन কাৰ্য নিজেদেরই করিতে হইত। প্রত্যেকেই অপরের পরিবর্তে স্বয়ং কাৰ্য্য করিবার জন্য ব্যস্ত। কাৰ্য্যের । মধ্যেই আবার দিবারাত্ৰ ধৰ্ম্ম, দর্শনাদির আলোচনা চলিতেছে, এমন অনেক দিন গিয়াছে যে, আন্দীে আহার জুটে নাই অথচ ধৰ্ম্ম