পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ অক্ষয়কুমারবাবু বলিতে লাগিলেন, “স্থির হন, ইহাতে বিস্মিত হইবার কিছুই নাহি। শশিভূষণের কোন দোষ থাক বা না থাক্‌, সে এখন আর এ জগতে নাই, সে কাল রাত্রে হাজত ঘরেই আত্মহত্যা করিয়াছে। বোধ হয়, আপনি জানেন, শাশভূষণের শয়ন-গৃহটি দক্ষিণ দিকের সরু গলিটার ধারেই। একটি অনতি-উচ্চ প্ৰাচার এবং কয়েকটি বড় বড় ফলের গাছ ব্যবধান মাত্র। শশিভূষণের শয়ন-গৃহে দুইটি শয্যা ছিল। একটিতে লালা তাহার শিশু-পুত্রকে লইয়া শয়ন করিত, অপরটিতে শশিভূষণ একাকী শয়ন করিত। যে রাত্রে লীলা খুন হয়, সে রাত্রে মোক্ষদার বাড়ীতে শশিভূষণ যায় নাই—সেইজন্য মোক্ষদা রাত্রে চুপি চুপি শশিভূষণের বাড়ীতে DDDBSS BB BiBiBDDD DDBDBD BOO DD DDBBS BB ঝোকে শয়ন-গৃহে গিয়া লীলাকে অত্যন্ত ওহারও করিয়াছিল। সে রাত্রে তাহাদের ঐ গলির দিকের একটি জানালী খোলা থাকায় সেই গলিতে দাড়াহঁয়াও ঘরের সেই সব ব্যাপার দেখিবার বেশ সুযোগ ছিল। যাক, তাহার পর শশিভূষণ একটি বিছানায় শুইয়া, মদের ঝোঁকে খানিকটা এপাশি-ওপাশ করিয়া নিদ্রিত হইল। এবং লীলাও তাহার খানিকটা পরে ঘুমাইয়া পড়িল। তাহার একঘণ্টা পরেই হত্যাকারী সেই গলিপথ দিয়া প্রাচীর, বৃক্ষ এবং উন্মুক্ত গবাক্ষের সাহায্যে সেই ঘরে প্রবেশ করিয়া লীলাকে হত্যা করে। পরে পুনর্বার উন্মুক্ত বাতায়ন পথ দিয়া নামিয়া যায়। তখন লীলার স্বামী মদের ও নিদ্রার ঝোঁকে একেবারে সংজ্ঞা শুন্য। যোগেশবাবু, আমার কথা আপনার বড় আশ্চৰ্য্য বলিয়া বোধ হইতেছে, বোধ হয় ; কিন্তু ইহার একটি বর্ণও মিথ্যা নহে-আমি এ সম্বন্ধে অনেক ।