झूठg|-दू श्गT »» তখন যমুনাদাস বলিল, “তুমি অন্ধকারে লুকাইয়া থাকিয়ো, আমি হুজুরীমলের সম্মুখে যাইব । সে আমাকে টাকা দিলে তোমায় আমি দিব। তুমি টাকা লইয়া সরিয়া গিয়া অন্ধকারে লুকাইয়ো।” ঠিক বারটার সময়ে পুরুষ-বেশে রঙ্গিয়াও স্ত্রী-বেশে যমুনাদাস রাণীর গলিতে প্ৰবিষ্ট হইল। রঙ্গিয়াকে একটা পার্শ্ববৰ্ত্তী পড়োবাড়ীর অন্ধকারে লুকাইয়া রাখিয়া, যমুনাদাস একটু অগ্ৰবৰ্ত্তী হইয়া হুজুরীমলের অপেক্ষা করিতে লাগিল । তাহাদের অধিকক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইল না। দশ মিনিট যাইতেনা-যাইতে দরওয়ানবেশে হুজুরীমল তথায় উপস্থিত হইল। এই গলির মধ্যে সরকারী আলো ছিল—তাহাও অতি দূরে দূরে ; কাজেই গলির ভিতর খুব অন্ধকার। হুজুরীমল সািভয়ে চারিদিকে চাহিতে চাহিতে অগ্রসর হইতেছিল। যমুনাদাস প্রকাও অবগুণ্ঠন টানিয়া অন্ধকারে দাড়াইয়াছিল। হুজুরীমল নিকটস্থ হইলে সে অগ্রসর হইল । সহসা অন্ধকারে তাহাকে দেখিয়া হুজুরীমল চকিতভাবে দাড়াইল। তৎপরে মৃদুস্বরে বলিল, “গঙ্গা, আমি মনে করিয়াছিলাম, তুমি আসিবে না।” যমুনাদাস মাথা নাড়িয়া হাত বাড়াইল। হুজুরীমল তাহার আরও নিকটস্থ হইল। প্ৰেমভরে বলিল, “এতদিনে বুঝিলাম, তুমি যথার্থই আমাকে ভালবাস। আমি দুখানা টিকিট কিনিয়াছি, চল আর এখানে দেরী করিবার আবশ্যাক নাই-এ জায়গা ভাল নয়।” যমুনাদাস কথা না কহিয়া আবার হাত বাড়াইল। এবার হুজুরীমলের সন্দেহ হইল, তৎপরে কয়েকপাদ সরিয়া দাড়াইল। কিয়ৎক্ষণ তাহার দিকে চাহিয়া থাকিয়া বলিল, “তুমি আমার সঙ্গে কথা কহিতে্যুছ না কেন ? এখানে কেহ নাই, কিসের ভয় ?”