পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প

ব্যাটাকে ঠেঙিয়ে মনের জ্বালা দূর ক’রতে হবে, তাতে মহামুনি ঔড়ব ভস্মই করুন আর তির্যগ যোনিতেই পাঠান।

 ভুণ্ডিলের কুটীরে কেউ নেই, শুধু প্রাঙ্গণে একটি আশ্রমব্যাঘ্রী তৃণভোজন করছে আর তিনটি হরিণশিশু তার স্তন্য পান করছে। এই স্নিগ্ধ শান্ত আশ্রমসুলভ দৃশ্য দেখে ঋষিকুমারদের হুঁশ হ’ল, অহিংসার কাছে কিছু নাই। হারিত ব্যাঘ্রীটিকে একটু আদর ক’রে সঙ্গীদের বললে——যা হবার তা তো হয়ে গেছে, দৈবই সর্বত্র বলবান্। কা তব কান্তা কস্তে পুত্রঃ। মিথ্যা ঋষিহত্যা ক’রে কি হবে, চল আমরা গোমুখী তীর্থে ফিরে গিয়ে পরমাত্মাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি।

 সংসারে বীতরাগ হয়ে তারা আবার উত্তর মুখে চলল। কিন্তু দৈবের মতলব অন্য রকম। একটু যেতে না যেতে তারা দেখতে পেলে বটগাছের তলায় একটি বল্মীকস্তূপ, সমিতা জমিতা আর তমিতা তার উপরে ঝাঁটা চালাচ্ছে।

 একটি সলজ্জ ম্লান হাসি হেসে তমিতা বললে এই যে, আসুন, নমস্কার। ভাল আছেন তো? কবে এলেন?

 হারিত বললে—ভদ্রে, এ কি?

 অবনতমস্তকে সমিতা উত্তর দিলে এই উই-টিপির মধ্যে আছেন। কাল বিকেল পর্যন্ত বেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন, কত গল্প কত হাসি কত গান। যেমন সূর্যাস্ত

১৪৪