বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিভক্তি চন্তিকা । ১৬৭ ধুম ও প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখা সহকারে প্রভূত শ্বাসবায়ু নিঃসৃত হইতে লাগিল । ঐ সকল শ্বাসবায়ু সৌদামিনী পুল্পসহ জলধর ৰূপে পরিণত হইল এবং সন্তপ্ত অমরগণের উপর বারি বর্ষণ করিতে থাকিল । এইরূপ মন্দর পুর্বতের পরিভ্রমণের দ্বারা মথ্যমান জলনিধি ভীষণ শদিত হইতে লাগিল । সমুদ্র স্তু বহুবিধ জলচরগণ গিরিমৰ্দ্দনে নিহত হইল। গিরিরাজ বারংবার ভ্রম্যমাণ হওয়াতে গিরিস্থিত ভূ যুগল পরস্পর সংঘৃষ্ট হইয়া পক্ষীগণসহ নিপতিত হইতে লাগিল । সেই পাদপসমূহের সংঘর্ষণ সন্ত্রত ভয়ানক পাবকশিখা সকলের দ্বারা গিরি সমাবৃত হইল। সেই প্রভূত হুতাশনে করা, সিংহ, মৃগ, কালসার, বরাহ, ভলুক প্রভৃত্তি গিরিস্থিত পশুকুল বিনষ্ট হইতে লাগিল । তদৃষ্টে দেবনায়ক ত্ৰিদশে শ্বর, ইন্দ্র নীরদগণের দ্বারা বারি বর্ষণে শান্তি সম্পাদন করিলেন । প্রকাণ্ড দ্রুমগণের নির্ষণস ও বিবিধ ঔষধি রস গণিত হইয়া সাগর গর্ভে পতিত হইল । বৃক্ষ ও বল্লীরস ও স্বর্ণ নিঅৰেৱ প্রতবে দেবগণ অমরত্ব লাভ করিলেন । অর্ণব বারি, বৃক্ষ রস, বলীরস, অন্যান্য রস স্বর্ণনিস্ত্ৰৰ অাদি মিলিত হইয় ক্ষীর এবং ক্ষীর হইতে ঘৃত উৎপন্ন হইল। তখন দেবগণ সৰ্ব্বলোক পিতামহ স্বষ্টিকর কমুগুলধারী সকল মঙ্গলালয় ব্ৰহ্মার সন্নিহিত হইয়া নিবেদন করিল ভগবন্‌ ! সমুদ্র মন্থনে সৰ্ব্ব দেবতা ও দানবগণে একান্তু ক্লান্ত হইয়াছি ; এখন পর্য্যন্ত অমৃত উদ্ভূত হইল না। তখন ব্ৰহ্মা নারায়ণকে কহিলেন তুমি ভিন্ন অমৃত উৎপন্নের উপায়ন্তর নাই, অতএব দেবতাদিগের বল প্রদান কর । নারায়ণ কহিলেন আমি সকলকেই বলপ্রদান করিয়াfছ ; তাহার পুনঃ মন্থন আরম্ভ করুক । দেবতার পুনঃ মন্থন আরম্ভ করিলে চন্দ্র, লক্ষী, উচ্চৈঃশ্রব।