বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*〉レ-8 হরিভক্তি চল্লিক। শাখ মধ্যে বালখিল্য ব্রহ্মর্ষিগণ লম্বমান হইয়া ঘোরতর তপস্যায় রত রহিয়াছেন । গরুড় ভাসিলেন ঐ শ}থ অবমীতে পত্তিত হইলে ঋষিগণের প্রাণ বিনষ্ট হইবেক, অতএব নখে হইতে ভগ্ন শাখা চক্ষ পুটে ধারণ করলেন । তপস্যা পরায়ণ বালখিল্য ঋষিগণ গরুড়কে গুরুভার গ্রহণপুৰ্ব্বক উড়ডীন দেখিয় বিস্ময়াপন্ন চিত্তে তাহার নাম গরুড় রঃখিলেন । তখন বিহিগরাজ মহাপর্বত গন্ধমাদনে উপস্থিত হইয়। নিজ পিতা , কশ্যপের সহিত সাক্ষাৎ পূর্বক বৃত্তান্ত সমুদায় বিজ্ঞাত করিয়া কহিলেন পিতঃ । এখন উপায় কি ? মহাত্মা কশ্যপ বালখিল্য ঋষিগণকে সেই স্থানে অবতীর্ণ করিয়। গরুড়কে কহিলেন রত্নময়ী শাখ। জনশূন্য পৰ্ব্বতে গিয়া পরিত্যাগ কর। তখন সৰ্ব্বভূত ভয়ঙ্কর, অচিন্তনীয়, অতর্কনীয়, বলবীৰ্য্যসম্পন্ন, পাবক তুল্য প্রদীপ্ত, অজেয়, কামচারী, কামবীর্য্য, কামগম খগরাজ গরুড় পিতার আজ্ঞানুসারে কার্য নিপন্ন করিলেন। তখন কশ্যপের বিস্তুর অভ্যর্থনায় সন্তুষ্ট হইয়। বালখিলা ঋষিগণ তপস্কার্থে হিমালয় পৰ্ব্বতে গমন করিলেন । অতঃপর মানব সমাগমপুন্য পৰ্ব্বত হইতে বিহগয়াজ উডউীন । হইলেন। গরুড়ের আগমন উপলক্ষে দেবগণের ত্রীসজনক উৎপাত আরম্ভ হইল। সুরগণের রতুময় তীক্ষ অস্ত্র সকল পরস্পর জtফ্ৰমণ করিতে লাগিলেন । বিন জলধর উল্কাপাত বিদ্যুৎ কম্পম ব্যাত্যাৰহন এবং ঘ নগর্জন হইয়া উঠিল । তৎ, শ্রবণ ও দর্শনে দেবরাজ চমৎকৃত ও বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া সুরাচার্য্য বৃহম্পতির নিকট অবগত হইলেন, মহাত্মা কখপের মহাবীৰ্য্য পক্ষিরাজ পুঞ্জ অমৃত হরণাভিলাষে আগমন করিতেছেন । তিনি রসুগণ, রুদ্রগণ, সাধ্যগণ, আদিত্যগণ অপেক্ষ বলবীৰ্য্য । অমৃতহরণের উপযুক্ত বলসম্পন্ন বটে। এই কথা শ্রবণ করিয়া