বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিভক্তি চন্দ্রিকা । כפל প্রসিদ্ধা ছিল, মায়াবী বহুৰূপ। অর্থাৎ ইচ্ছানুসারে নানা ৰূপ ধারণ করিতে পারিত এবং সৰ্ব্বদাই অরণ্যসমূহ বিচরণ করিয়া জাহারের সামগ্ৰী আহরণ কfরত । পরে স্ত্রীরাম অবতারের কথা শ্রবণ কর । সেই অসামান্য বলৰীর্ঘ্য সম্পন্ন ভূক্তি লঙ্কাপতি দশাননের দৌরাত্ম্য অসহ বোধ করিয়া বধুন্ধর ও দেবতাগণে আমার সন্নিহিত হইয়। শরণাপন্ন হইলেন। আমি দেবগণের দুঃখ ও ভূমি ভারহরণ কারণ অযোধ্য নিবাসী বহুগুণসম্পন্ন রাজা দশরথের নিবাসে রাম, লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘ্নৰূপে অবতীর্ণ হইলাম । তৎপরে পিত্রজ্ঞ। প্রতিপাল করিতে চতুর্দশবর্ষ ধনুৰ্দ্ধর লক্ষণ ও নিৰ্ম্মল শরদিন্দু নিভাননা মৃগনয়নী পকূবিশ্বাধরা সুচারুহাসিনী জনক দুহিতা সমভিব্যহারে করিয়া অরণ্যগামী হইলাম । তথায় পঞ্চবট কাননে অবস্থিত আছি, এম্বিধ সময়ে ঐ শূৰ্পণখা—রবিণের সহোদরা, বিদ্যুৎসমুজ্জলা নিষ্কলঙ্ক শশীবদন সাধুজন মনোবৃত্তিহারিণী মোহিনীৰূপ ধারণপুৰ্ব্বক পঞ্চবটী কাননে আসিয়া কহিল রঘুপতে । আমি অতুলৈশ্বৰ্য্যশালী রাবণের ভগ্নী । আপনি অনুগ্রহ পুৰ্ব্বক আমার পাণীগ্ৰহণ করুণ । আমি কহিলাম চন্দ্রীন নি ? অামার বিবাহ নির্বাহ হইয়াছে। তোমার অভিলাষ পশ্চাৎ পুর্ণ করিব ; এক্ষণে লক্ষণের নিকটে গমন কর। হে উদ্ধৰ সেই শূৰ্পণখা দ্বাপরযুগে এই সৈরিন্ধু নাম ধারণ করিয়াছে। অতএব আমার পুর্ব প্রতিজ্ঞামতে তাহার অন্তিলাষ পুর্ণ করিতে হুইবেক , বিলম্বে প্রয়োজন নাই, এক্ষণে গমন করি চল । * , এইৰূপ কথোপকথনের পরে, হর্ষেৎফুলু লোচনে ও হাস্য বদনে উদ্ধবকে সমভিব্যাহারী করিয়া কুবুজার অবাসমন্দিরে উপস্থিত হইলেন । দেখিলেন, বাটীর চতুষ্পর্শে পুষ্পোপ্তান ।