২২ হরিভক্তিচন্দ্রিক। ভীৰেন অতঃপর শুনিয়া শ্যামের বেণু, মাখিয়া ব্রজের রেণু, পবিত্র হইবে কলেবর ॥ দেখিব কুঞ্জের শোভা, ভুবনের মনোলোভা; যখায় বিহুরে কৃষ্ণধন যাইয়। যমুনা কুল, হেরিব কদম্ব মূল, হৰে তায় শীতল নয়ন । এত বলি যান মুনি, স্থপুরের ধ্বনি গুনি, গোপালের গোষ্ঠে উপনীত । দেখেন চরণ চিহ্ন, রহিয়াছে ভিন্ন ভিন্ন, অজুর দেখিয়া বিমোহিত । হরির চরণ রেখা, কত ভাৰ ভক্তি লেখা, মুক্তির কারণ মূলাধার। কোটি ভানু শোভে তায়, চন্দ্র গড়াগড়ি যায়, পরম আরাধ্য দেবতার 1} চিহ্ন করি দরশন, রথ হুৈতে ততক্ষণ, অক্রর নামেন সেই স্থলে । চিহ্নের উপরে পড়ি, গোষ্ঠে দেন গড়াগড়ি, মুখে হরি হরিবোল বলে । হরিনামাঙ্কিত গায়, নামাবলী শোভা পায়, নাসিকীয় তিলক বিশাল । মুখে শব্দ অভিরাম, হরে হরে হরে রাম, হরে কৃষ্ণ গোবিন্দ গোপাল । লক্ষীকান্ত গদাধর, পীতাম্বর মুরহর, মুকুন্দ মুরারী নারায়ণ । কৃত্তিবাদ মনোরম, নরসিংহ নরোহিম, গিরিধর শ্ৰীমধুসুদন। কেশব করুণাসিন্ধু দীননাথ দীনবন্ধু, বৃন্দাবন বিহারী শ্ৰীধর। যদুনাথ জনাৰ্দ্দন, মুবেশ গরুড়াসন, সত্ব রজঃ তমো গুণাকর । ধূলায় লুষ্ঠিত হয়ে, শ্ৰীহরির নাম লরে, যান মুনি গোধূলি সময়। বলেন কোথায় শ্যাম, আমার অকুর নাম দীনে দেখা দেহ দয়াময় । এত বলি ধরি ধ্যান, হৃদয়েতে ব্ৰহ্ম জ্ঞান, পতিত হইয়। মৃত্তি কায়। মুদিয়ে নয়নদ্বয়, ধ্যানে কৃষ্ণ নান লয়, কি প্রকার খুন সমুদায় । শ্ৰীগোবিন্দের ধ্যান।
- ইন্দ্র নীলমণি শ্যাম সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ। খ্ৰীকৃষ্ণ পরম। রংধ্য ত্রিভঙ্গ শ্যামসুন্দর | সৰ্ব্বাঙ্ক সুন্দর কৃষ্ণ নানালঙ্কার
