বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশের কলঙ্ক। এক পুঞ্জ কৃষ্ণ হতে তোমার কি মুখ । শুভক্ষণে হেরেছিলে এই পুত্ৰ মুখ । অবশ্য হইবে সিদ্ধি পুজ হতে সাশ ৷ তোমার না হবে জার নরকে নিবাস ॥ এৰূপে অকুরমুনি কন বিবরণ । শুনিয়া সানন্দ মনে নন্দের গমন । নির্জন পাইয়া কৃষ্ণ তখন অলিয়। অজ,রে সুধান কথা বিনিয়া বিনিয়া । কি হেতু হেথায় আসা হইল তোমার । বলহু অত্রর খুড়া এই সমাচার। বসুদেব পিত। মম আছেন কেমন। দেবকিনী জন নীর কহ বিবরণ | কহ সে কংসের কখা শুনিব বিশেষ এখন কি করে সেই দৌরাত্ম্য অশেষ। জিজ্ঞালেন রামকৃষ্ণ করিয়া বিনয় । অত্রপুর বিশেষ কথা কন সমুদয় । অজুরের সহিত শ্রীকৃষ্ণের কথোপকথন । আমি এই মথুরার, কি কব দুৰ্গতি আর, কহিতে বিরে বক্ষঃস্থল। কংসের সৌরাত্ম্য ভারি, তথায় রহিতে নারি, সঘনে নয়নে বহে জল । তব মাতা দেবকিনী, পিতা বসুদেব যিনি, তাদের দুৰ্গতি অতিশয় | রয়েছেন কারাগারে, বিপদে ডাকিবে করে, কেবল নয়নে ধারা বয় | সৰ্ব্বদাই নিরানন্দ, কান্দিয়স অন্ধ, তাহদের না দেথি উপায় । একথা নহেত ছাপা, হৃদয়ে পাষাণ চাপ, দুৰ্গতি বর্ণন করা দায় । কোথা কৃষ্ণ গুণ ধাম, কোথাওরে বলরাম, দুজনার বাক্য এই সার। গর্ভেতে জন্মিলে যার, বল কি করিলে তার, কি কঠিন হৃদয় তোমার। প্রবেশিরা এ গোকুলে, লীলায় রয়েছে ভুলে, আর কবে করিবে গমন । বিপদে রক্ষার তরে, পুত্রের কামনা করে, সংসারের