পাতা:হরিশ ভাণ্ডারী (তৃতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१ ।। হরিশ ভাণ্ডারী সন্ধান পাইল না, তখন একদিন মাতার অজ্ঞাতসারে সে গৃহ ত্যাগ করিল এবং বৰ্দ্ধমান জেলার মানকর গ্রামে আসিয়া উপস্থিত হইল ! / 6 একবার যাত্রার দলের সহিত মানকারের প্রসিদ্ধ কবিরাজ । মহাশয়দিগের বাড়ীতে গান করিতে গিয়াছিল। এবারও মানকরে আসিয়া সে সেই কবিরাজ-বাড়ীতেই আশ্ৰয় লইল । সেই সময়ে কলিকাতার একজন মহাজন কবিরাজ মহাশয়ের নিকট হইতে রোগের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করিবার জন্য মানকরে গিয়াছিলেন । হরিশ তাহার নিকট কৰ্ম্মপ্রার্থ হইলে তিনি হরিণকে সঙ্গে লইয়া কলিকাতায় আসিলেন। এই ভদ্রলোকই আমাদের পূর্বকথিত আড়াতের কৰ্ত্তা লক্ষ্মী বাবু। . . . সেই হইতেই হরিশ আজ ৩৫ বৎসর বাবুদের আড়তেই | আছে । . প্রথমে সে বাবুদের সামান্য ফরমাইস খাটিত , তাহার পর কিছুদিন আড়াতের ভাণ্ডারীর সঙ্গে-সঙ্গে ঘুরিত , শেৰে । একেবারে পাকা ভাণ্ডারীর পদে বাহাল হইয়া এই সুদীর্ঘকাল সেই কাৰ্য্যই করিয়া আসিতেছে। . . . . আড়তের চাকুরী প্রাপ্তির তিন বছর পরেই হরিশের বিবাহ হয়। তাহার পাঁচটী সন্তান হয়; তাহার মধ্যে চাৰিটা বাল্যবস্থায় মারা যায়, কেবল একটি মেয়ে বাচিয়া আছে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে তাহার মাতা পরলোকগত হয় এবং মেয়ের বিবাহের পরেই তাহার স্ত্রীবিয়োগ হয়। এখন সংসারে ঐ কন্যাটা ব্যতীত অহার আয় কেহই নাই। হরিশ স্বাধন প্রথম আড়াতে আসে, তখন সে মদ-গাঁজা খাইত ; )