পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y OV) হলুদ পোড়া সুধা জানিতে চায়। ওই রহস্তের মধ্যে সে কি ছিল। জবাব না পাইয়া তাহার রাগ হইয়া গেল। বলিল 'বলবে না তো ? আচ্ছা, নাই বললে।” সুলতা বলিল, “বলছি। বড় মাথা ধরেছে।” সুধা হতাশ হইয়া বলিল ‘এই শুধু ?” eনার ভয় করছে।” ভয় । মনে হইল এবার যেন সুধা তাহার প্রশ্নের সদুত্তর পাইয়াছে। চোখ বড় বড় করিয়া সে বলিল “ভয় করছে বৌদি ? ভারি আশ্চৰ্য্য তো *ি বলিয়া কিশোরী মেয়েটি এক মুহুর্তে গম্ভীর বিষন্ন ও চিন্তিত छऐश्चा जैठेिल । ' বিকালের দিকে আর সন্দেহের অবকাশ রহিল না যে আজ রাত্রির অন্ধকারেই আকাশে একটি নূতন জন্ম তারকা দেখা দিবে। ক্লিষ্টস্বরে সুলতা বলিল সুধা ভাই, মাকে বল ওঁর কাছে লোক যাক।” সুধা বলিল, ‘দাদার ‘আসবার সময় হয়েছে, এক্ষুনি এসে পড়বে।” সুলতা খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। বাড়াবাড়ি করিতে লজ্জা বোধ হয়। কিন্তু কি করিয়াই বা চুপচাপ থাকা যায় ? ছেলের চেয়ে । স্বামীর জন্য প্রতীক্ষা করিয়া থাকাটাই তাহার কাছে অধিকতর দুঃসহ হইয়া উঠিয়াছে। এই কথাটা ইহাদের সে বোঝায় কেমন করিয়া ? * খানিক পরেই সুলতা আবার বলিল ‘কিন্তু আপিস থেকে ও যদি কোথাও চলে যায় ভাই ? কোন বন্ধু যদি বায়স্কোপে ধরে নিয়ে যায় ? কি হবে তাহলে?” মৃন্ময়ী সারা দুপুর বার বার ঘরের সন্মুখ দিয়া যাতায়াত করিয়াছে। সুলতার এ কথাটা সে শুনিতে পাইল। উকি দিয়া বলিল “কি আর , হবে তা হোলে, পৃথিবী রসাতলে যাবে! সে পুরুষ মানুষ এসে তোমারঃ