বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR হলুদ পোড়া বিছানায় ফিরিয়া আসিয়াছিল কিছুই টের পায় নাই। দু’চারটি রাত্রি বাদ দিয়া তার আগের আরও পাঁচ সাতটি রাত্রেও টের পায় নাই। আজ যে কেন তার ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। হয় তো জাগিয়াই ছিল, কে বলিতে পারে। একবার ঘুমাইলে মহেন্দ্রের ঘুম সহজে ভাঙ্গে না। উঠিয়া যাওয়ার সময় সুভদ্ৰা আস্তে তার গায়ে একবার ঠেলাও দিয়াছিল । গায়ে ঠেলা দেওয়ায় যে জাগে নাই কয়েক মিনিই পরে আপনা হইতে তার ঘুম তো ভাঙ্গিবার কথা নয়। রসিক গায়ে জড়াইয়া আসিয়াছিল ছেড়া একটা সস্তা কম্বল। ভয় পাওয়ার অভ্যাস থাকিলে কম্বল জড়ানো সেই চেনা মানুষটিকে দেখিয়া সুভদ্রা হয় তো মূৰ্ছ ষাইত। তার বদলে বর্ষা বাদলের রাত্রে ভালবাসিয়া জালাতন করিতে আসিয়া.ে বলিয়া রসিকের হাত ब्रिक्षा श्एिश्gि कब्रिग्रा তাকে সে টানিয়া নিয়া গেল উঠানের দক্ষিণে ধানের মরাইটার গা-ঘেঁষা ছোট আটচালার নীচে । আটচালার অৰ্দ্ধেকটা ভরিয়া ছিল চ্যালানো আমি কাঠে আর বাকী অৰ্দ্ধেকটা ভরিয়া ছিল চাষের যন্ত্রপাতি আর ভাঙ্গা গরুর গাড়ীর চাকা আরম্ভ করিয়া দুমড়ানাে কেনেস্তারা পৰ্যন্ত রকমারি জঞ্জালে। তার মধ্যে একটু স্থান করিয়া রসিকের গায়ের কম্বল বিছাইয়া তারা বসিয়াছিল। , , তারপর রসিকের বুকে মাথা রাখিয়া ভৎসমার, সুরে সুভদ্ৰা সৰে BLeLLuuDSDDBB BDDB BDB TEDB gO OOBLDLDDD S আর'আবেগ ও আবেদনে কঁাদ কঁদ গলায় রসিক সবে জবাব দিয়াছে, “না এসে থাকতে পারলাম না, মাইরি বলছি,-” এমন সময়’ সেখানে মহেন্দ্ৰ আসিয়া হাজির । দু’জনকেই মহেন্দ্ৰ সম্ভবত খুন করিয়া ফেলিত কিন্তু নাগাল সে পাইল না। একজনেরও। লম্বা রোগা বাইশ বছরের ছোকরা রসিক চোখের পলকে উধাও হইয়া গোল