পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুচন । ཕག། গ্রন্থকর্তা সেখ মসলিহেদিনৃ সাদি গোলেস্ত গ্রন্থ প্রণয়নের হেতু এইরূপে বর্ণন করিয়াছেন । “ একদা রজনীতে অামি গত জীবনের বিষয় চিন্তা করিতেছিলাম, যে সময় নষ্ট করিয়াছি ভজন্য খেদ করিতেছিলাম, চাঞ্জ রূপ হীর দ্বারা হৃদয় প্রস্তরকে বিদ্ধ করিতেছিলাম, এবং নিজের অবস্থানুযারী এই সকল বাকা বলিতেছিলাম : প্রতিমুহূৰ্ত্তে জীবনের কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ক্ষয় হই তেছে, দৃষ্টি করিয়া দেখ জীবন অধিক নাই। পঞ্চাশ বৎসর গত হইল, সাদি ! এইক্ষণও তুমি নিদ্রায় রহিলে। অন্ততঃ অবশিষ্ট পঞ্চদিন সার্থক করিয়া লও ’ ইত্যাদি। এই সকল গৃঢ় আলোচনার পর নির্জনে বাস করা, লোকসংসর্গ পরিত্যাগ করা, বৃথা আলাপে লিপ্ত না হওয়া পরামর্শ স্থির করিয়া তাহ অবলম্বন করিলাম। সেই নির্জনতা অবলম্বনের পর আমার স্বদেশ বিদেশের সঙ্গী ও প্রতিবেশী এক বন্ধু আমার কুটিরে আসিয়া উপস্থিত হয়েন । তিনি অনেক চেষ্টা করিলেন যে অামার সঙ্গে কথোপকথন ও স্থামোদ প্রমোদ করেন,কিন্তু আমি উাহার সঙ্গে কথা বলিলাম না, ধ্যান ভঙ্গ করিয়া মস্তক উত্তোলন করিলাম না । তিনি দুঃখিত অন্তরে আমার প্রতি স্থির দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিলেন “এইক্ষণ তোমার বাকশক্তি আছে, হে ভ্রাতঃ ! প্রিয় মধুর বচন বল। কল্য যখন মৃত্যুর অনুচর উপস্থিত হইবে, তখন ত বাধ্য হইয়াই বাক্য রোধ করিবে (’ সেই সময় আমার এক জন আত্মীয় প্রকৃত ঘটনা তাহাকে জানাই লেন ও বলিলেন যে ইনি ইচ্ছা ও সঙ্কণপ করিয়াছেন যে