পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যার । برای বলিল “ এ নগরে এরূপ তিক্ত মধুরভাষী সাদি নামক এক ব্যক্তি আসিয়াছেন।” ৪ । 效 এক মধুরভাষী মধু বিক্রেতা ছিল । তাহার সহাস্য মুখের সুমধুর বিনম্র বাণীতে সকলের হৃদয় বিগলিত হইত। এজন্য তাছার নিকটে সৰ্ব্বদ ক্রেতাগণের ভিড় থাকিত। তাহার মধুর গ্রাহক মক্ষিকাকুল অপেক্ষ ও অধিক ছিল । সে বিষ দান করিলেও মধু বলিয়া লোকে উহ। তাহার হুস্ত ইহঁতে গ্রহণ করিত । তাহার ব্যবসায়ের অসাধারণ উন্নতি দেখিয় এক জন । কটুভালী গৰ্ব্বিতের ঈর্ষ্য হইল। সে এক দিন মধুপূর্ণ ভাও মস্তকে করিয়া বিক্রয়ের জন্য নগরের পথে পথে দ্বারে দ্বারে ঘূরিয়া বেড়াইল । সমগ্র দিন ঘূরিয়া কটু কর্কশ নাদে মধু মধু বলিয়। চীৎকার করিয়া একট মক্ষিককেও গ্ৰাছক পাইল না। যখন সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত চেষ্টা করিয়া এক কপদকও হস্তগত করিতে পারিল না, তখন মহা দুঃখে গৃহকোণে বছয় বসিয়া রছিল । অপরাধী দণ্ডাজ্ঞা শ্রবণে, কারাবাসী ইদোৎসবের দিনে যে প্রকার বিষমভাব ধারণ করে, সে তদ্রুপ বিরসমুখে উপবিষ্ট রছিল। ইছ দেখিয়৷ তদীয় সহধর্মিণী কৌতুকভাবে তাহাকে বলিল “ জাম তিক্তভাষীর হস্তে মধুও তিক্ত হয়।” # যে ব্যক্তি বিরস মুখে অন্ন পরিবেশন করে, তাহার অন্ন তোমায় নিকটে অখাদ্য হইবে । বলি হে ভদ্র ! কটুক্তি অবিনয়ে নিজের অনিষ্টসাধন করিও না, উদ্ধত অপ্রিয়ভাষীর ভাগ্য কখন অনুকুল হয় না । ৫ । এক স্বরামত্ত হুরাচার একজন ঈশ্বর পরায়ণ জ্ঞানীলোককে গলদেশ আক্রমণ করিয়া অপমান করিয়াছিল, সেই মহাত্মা উক্ত পাষণ্ড দ্বার লাঞ্ছিত ও বিড়ম্বিত হইয়া কিছুই বলেন না, নিঃশব্দে চলিয়া যান | ইছ। দেখির কেছ তাছাকে ধলিল “সেই দুৰ্ব্বত্তের দুৰ্ব্ব্যবহারে সহিষ্ণু হওয়াতে তোমার পুরুষকার হয় নাই।” তিনি বলিলেন “কুদ্ধ শাৰ্দ্দলের সঙ্গে কে যুদ্ধ করিতে ইচ্ছা করিয়া গার্কে ?” o যে স্বরাম দোর পাথণ্ডের গ্রীবায় হস্তাপণ করে সে জ্ঞানশালী