পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭% পঞ্চম অধ্যায় { লেন ও নরপতিকে ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, “ খেণতন রাজ্যাধিপতির প্রদত্ত পরিচ্ছদ অতি সুন্দর, কিন্তু আমার জীর্ণ বস্ত্র আমার নিকটে অধিক সুন্দর । ” যদি ভোগ মুখে অনাসক্ত বট, ভূমিতলে শয়ন কর, ক্ষতি নাই। এক খান উষ্ণ শয্যার জন্য কাছার নিকটে যাইয়া ভূমি চুম্বন করিও না । ৬ । এক ব্যক্তির পলাও ব্যতীত কটিকার অন্য উপকরণ কিছুই ছিল না। কোনু অৰ্ব্বাচীন আসিয়া বলিল “ দরিদ্র ! যাও, মছগরাজের সেন নিবেশ* হইতে ঘৃত পক্ক মাংস নিয়া আসে। তথায় যাইয় প্রশৰ্থন কর, কাছাকেলজ্জ বা ভয় করিও না। লজ্জাশীল লোকেরাই জীবিকা লাভ করিতে পারে না। ” 'ষ্টছ শুনিয়া সে সত্বর সেন নিবেশে গেল। সে খানে মাংসোপকরণ পাইবে দূরে থাকুক, চাহিতে গিয়া বিলক্ষণ অপমানিত হইল । সে তখন অশ্র পূর্ণ নয়নে বলিল “ হায়! এই স্বাৰ্থ রোগাক্রান্ত উদরের ঔষধ কি ? লোভস্কৃত ব্যক্তি স্বয়ং বিপদকে অন্বেষণ করিয়া লয় ।” যচিঞ করিয়া সোপকরণ উত্তম ৰুটিকা পুঞ্জ ভক্ষণ করা অপেক্ষ, আপনার শ্রমার্জিত একটী সামান্য ৰুট ভোজন করা সুখ কর। অন্য ব্যক্তির অন্ন পূর্ণ পাত্রের প্রতি যাহার লোভ দৃষ্টি, সেই নীচাশয় কি উৎ কষ্ঠিত মনেই না কাল যাপন করে । ৭ । কোন ৱদ্ধ। নারীর গৃহে এক দুষ্ট লেভী মার্জার ছিল । সে অধিক খাইবার লোভে ধনীর অথিতি শাল্লায় চলিয়া যায়। অথিতি শালস্থ ভূতগণ তাহার শরীর শরে বিদ্ধ করে, মীর্জার শোণিতাক্ত কলেবরে দৌড়িতে দৌড়িতে এই বলিতে লাগিল । “ হায়! ” যদি আমি আমার কত্রীর গৃছে ধৈর্য্য ধারণ করিয়া থাকিতাম, বাণের আঘাত হইতে মুক্ত থাকিতে পারিতাম । ** হৃদয়! আপন গৃহে ধৈর্য্যাবলম্বন করিয়া থাকাই শ্রেয় ; মধু মক্ষিকার কুলঘাত পাইলে মধু কিছুই মূল্যবান বোধ হয় না । প্ৰভু সেই ভূত্যের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন না, যে র্তাহার দানেতে সন্তুষ্ট চিত্ত নহে। ৮ ।