বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 ষষ্ঠ অধ্যায় । চাবি যদি হস্তে না থাকে, শুদ্ধ বলের দ্বারা বিজয়ের দ্বার উদঘাটন করু। যায় না। এক দল মহা বিক্রমশালী অশ্বারা অরণভি-সৈন্য তামার নিকট প্রকাশ পাইল, তাহদের মম্ভক অবধি অশ্ব ক্ষুর পর্যন্ত লৌহময় কবচে অরত ছিল । যখন এই সকল তাতারীয় সৈন্য সম্মুখে দৰ্শন করিলাম, তৎক্ষণাৎ বর্মকে পরিচ্ছদ, লেছ মুকুটকে শিরস্ত্রাণ করিয়া লইলাম। আরবীয় রণ তুরঙ্গমকে মেঘের ন্যায় চালনা করিলাম, বারিরাষ্টবৎ ইতস্ততঃ অস্ত্র বর্ষণ করিতে লাগিলাম। উভয় সৈন্য দলে তুমুল যুদ্ধ জারম্ভ হইল। তখন যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । মেঘের শিল' বর্ষণের ন্যায় বাণ বৃষ্টিতে চতুৰ্দ্দিকে মৃত্যুর ঝড় উত্থিত হইল । রণ ব্যাঘ্রদিগকে শিকার . করিবার নিমিত্ত যেন যুদ্ধ জল রূপ অজগর সকল মুখ ব্যগদান করিয়া রহিল । ধূলি রাশিতে ভূমণ্ডল নভো মণ্ডলের ন্যায় প্রতীরমান হুইয়াছিল। তাছাতে অগণ্য কৃপাণ ও লৌহ মুকুটের জ্যোতিঃ নক্ষত্রের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছিল । অসি চৰ্ম্ম হস্তে পদব্রজে দুৰ্জ্জয় সহির্সের সছিত অরি চক্রে প্রবেশ করিয়া ঘোরতর যুদ্ধ করিলাম। মনুষ্যের বাহু কত দূর বল করিবে, যদি ঈশ্বরানুকুল্য রূপ বাহু অনুকুল না হয়। বীর পুরুষের অসির কিছুই ক্ষমতা থাকে না, যদি ভাগ্য অপ্রসন্ন ও বিবাদী ছয় । আমাদের একটা সৈন্য ও শোণিতাক্ত কলেবর না হইয় রণভূমি হুইতে বাছির হইল না । ত্বক্ আবৃত দাড়িন্তের বীজ পুঞ্জের ন্যায় আমরা দলবদ্ধ ও একত্র ছিলাম, এই ক্ষণ মছ আঘাত পাইয়া ইতস্ততঃ ছিন্ন ভিন্ন হুইয়। পড়িলাম । ক্ষীণ বল হুইয়া পরাস্ত হইলাম। ঈশ্বরেচ্ছ রূপ ৰাণের সম্মুখে চৰ্ম্ম ফলক ধারণ করা কিছুই নয়ণ ” ১ -- উদরের বেদনায় কোন বীরপুৰুষের নিদ্রা হইয়াছিল না । সে দ্রাক্ষ শশক ভক্ষণ করিয়াছিল । তাহার নিকটে এক জন চিকিৎসক ছিলেন, তিনি বলিলেন “ দ্রীক্ষণ পল্লব ভক্ষণ করিয়া এক রাত্রি বঁচিয়া থাকাই অামি অনশনৰ্য্য মনে করি । অজীর্ণকর অপথ্য দ্রব্য ভক্ষণ করা অপেক্ষা তত্তর দেশীয় সুতীক্ষ বাণ বক্ষে বিদ্ধ করাও ভাল। একটা গ্রাসপিও বিশেষ প্ৰকাশয় দূষিত করিয়া তৎক্ষণাৎ জীবন বিনাশ করে ” ঘটনা এরূপ হইল