Yog নবম অধ্যায় । আচাৰ্য ইছ দেখিয়া ভাবিত হইলেন ও র্তাহাকে এই বলিলেন “হে অবোধু! উপদেশ শ্রৰণ কয়, ছায়! একি তুমি যে স্বর্ণ পিণ্ডের মধ্যে হৃদয়কে বন্ধ করিয়া রাখিলে! লোভের মুখ এ প্রকার সামান্য বিস্তৃত নয় যে দুই একটা ধাতু পিণ্ডেতে তাহ পূর্ণ হইয়। যাইবে । অতএব হে লোভপ্রবণ অৰ্ব্বাচীন ! স্বর্ণ পিণ্ডের মোহ পরিত্যাগ কর । দুই এক খণ্ড কি ততোধিক স্বর্ণে লোভ পরিতৃপ্ত হইবে না, আরও চাহিবে । তুমি ধন রদ্ধি ও সুখভোগের চিন্তায় চিত্তকে বিকৃত করিয়া রাখিলে। জীবন সম্পত্তি যে উৎসন্ধ হইল, তজ্জন্য অনুশোচনা হইতেছে না। লোভ-ধূলি তোমার ੋਕচক্ষুঃকে অন্ধ করির রাখিয়াছে, আসক্তিরূপ উষ্ণ বায়ু জীবন-ক্ষেত্রকে দগ্ধ করিয়াছে। চক্ষুকে ধূলি-মুক্ত কর, কল্য যে মৃত্তিকার নিম্নে ধূলিতে পরিণত হুইবে, তাছার জন্য অনুশোচনা কর । ৫ কোন দুই জনের মধ্যে ঘোর শক্রতা ও বিবাদ ছিল, ব্যাস্ত্রের ন্যায় একে অন্যকে আক্রমণ করিত। পরম্পরের প্রতি তাহার এরূপ অসন্তুষ্ট ছিল যে দুই জমে এক আকাশের নিম্নে বাস করিতে কষ্ট বোধ করিত। ইতি মধ্যে এক জলের উপর শমন সৈন্য চালন করিল, তাছার জীবনের পর্য্যবসান হইল। এই মৃত্যু ঘটনায় শক্রর মনে আহলাদ জম্মিল। শত্রু কিয়দিন অন্তর বৈর নির্ষ্যাতনের ভাবে তাহার সমাধি ক্ষেত্রে উপস্থিত হইল। সেই শবকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করিবার জন্য সমাধি গহবরের মুখ হইতে প্রস্তর ফলক তুলিয়া ফেলিল, তখন দেখিল যে মুকুট ধারার মস্তক গর্তের মধ্যে, তাছার দুই চক্ষু মৃত্তিকাতে পরিপূর্ণ, শরীর সমাধি কারাগারে বদ্ধ, অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কীট ও পিপীলিকা কুল। পূর্ণ শশধর তুল্য তাহার যে মুখ মণ্ডল ছিল, কালের অত্যাচারে ক্ষীণ ও বিকৃত হইয়াছে। সের্ভ * তুল্য যে সুন্দর সরল শরীর ছিল, ভগ্ন হুইয়া গিয়াছে। সেই দৃঢ় মণি বন্ধে, জগনুতেও কফোণিতে সংযোগ নাই। এই অবস্থা দেখিয় তাহার মনে এরূপ শোকের উত্ৰেক হইল যে সে ক্ৰন্দন না করিয়া থাকিতে পারিল না । t so • লের্ড এক প্রকার হদির সরল বৃক্ষ ।
