ጓ© সপ্তম অধ্যায় । নিকটে গেলাম। বিশেষ রিবন্ত্রণ জ্ঞাপন করিয়া ধনী ও দরিত্র এই দুইয়ের যুyে কে শ্রেষ্ঠ উপস্থাকে জিজ্ঞাসা করিলাম। কাজি আমাদের অবস্থা দেখিয়া ও স্বাক্য শ্রবণ করিয়া কিয়ৎক্ষণ অধোবদমে চিন্তা করিলেন। পরে মস্তক উত্তোলন পূর্বক জামাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেম “ ওছে ভূমি ধনীদিগের প্রশংসা ও দরিদ্রগণের নিন্দ করিয়াছ । জানিও যেমন পুষ্প ও কণ্টক এক স্থানে স্থিতি করে, ধনভাণ্ডে সৰ্প থাকে, যেখানে মছা মূল্য মুক্তাক্ষল সেখানে ভয়ঙ্কর কুম্ভীর বাস করে, সুখ দুঃখ হুই পরম্পর নিকটে অবস্থিত ছয়, যেমন উদ্যানে বেদমোঙ্ক নামক সুন্দর সুন্ধি তঙ্ক ও অাছে, আবার জীৰ্ণশুষ্ক জন্মও আছে ; তজপ ধৰ্মী সম্প্রদায়ের মধ্যে ধাৰ্ম্মিকও অাছে, অধাৰ্ম্মিকও আছে । দরিদ্রমণের সম্বন্ধেও এই কথা । ঈশ্বরের মন্দিরে সেই সকল ধনীই আসন পাইবার উপযুক্ত, র্যাহারণ অন্তরে দীন । সেই সকল দরিদ্র ঈশ্বরের প্রিয় পত্র, র্যাছার সৎসাহসে ধনী । তিনিই শ্রেষ্ঠধনী, যিনি দরিত্রের সঙ্গে সহানুভূতি রাখেন। তিনিই দরিদ্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তুমি ধনীর সাহায্যের প্রত্যাশীমছেন, ধিনি বলেন, ঈশ্বরই আমার জন্য যথেষ্ট।” অনন্তর কাজি, আমার প্রতিবাদীর প্রতি দৃষ্টি করিয়া বলিলেন “ গুছে তুমি ষে বলিলে দ্বনিগণ অবৈধাচারে লিগু, ক্রীড়া আমোদে মত্ত, সৎসাহস বিহীন, ধনের অমিতাচারী, তাহারা ধন সংগ্রহ করে, রক্ষা করে, সম্ভোগ করে না, দান করে না। যদি অনাবৃষ্টি প্রযুক্ত দুর্ভিক্ষ উপস্থিত ছয়, কিম্ব প্রবল ঝটিকায় দেশ উৎসন্ন ছইয়া যায়, ধনিগণ নিজের ধন আছে বলিয়। মিশ্চিন্ত থাকেন, দরিদ্রদিগের ক্লেশের সংবাদ লন মা, ঈশ্বরকে ভয় করেন না। ধন্যভাবে অন্য লোকের মৃত্যু ছইল, তাছাতে আমার ক্ষতি কি, আমার ধন আছে, বিপদ ঝটিকায় ভয় নাই ; এই উছাদের ভৰি । নীচাশয় লোকের নিজের কম্বলখন বঁাচাইতে পারিলে বলে যে জগতের লোক মরিয়া গেল তাহাতে আমার কি শোক ? এই যাহা তুমি বলিলে, কতকগুলি লোক এরূপ অাছে সত্য, কিন্তু আবার কতকগুলি ধনবান, দুঃখী দরিজের অভাবু মোচনের জন্য ভাণ্ডার মুক্ত রাখিয়াছেন, দানের হজুগ্রগতি করিয়াছেন । র্তাহার। ইহুলোকে যেমন ধনী, তদ্রুপ পর লোকের সম্বলশালী ধনীর বদান্যতায় মানব জাতির যেরূপ কল্যাণ হয়,
