निरुभ ধৰ্ম্ম 5ܢܠ మాSumitaBot (আলাপ) ১৩:৩১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ইউটিসি) করা জ্ঞানী ধাৰ্ম্মিক এবং সহৃদয় ব্যক্তির কাৰ্য্য নয়। দুঃখের বিষয় আমাদের মধ্যে অনেকে এখন তাহাই করিতেছেন। আরো দুঃখের বিষয় র্যাহারা হিন্দুধৰ্ম্মের আলোচনা করিতেছেন তঁহাদের উপর রাগ করিয়া করিতেছেন। কিন্তু দয়া প্রভৃতি হৃদয়ের উৎকৃষ্ট ভাব হইতে যে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম হয় তাহা নিষ্কাম হইলেও সেই ভাব গুলিকে নিষ্কাম ধৰ্ম্মর ভিত্তি করা নিরাপদও নয় যুক্তিসঙ্গতও নয়। প্রথম শ্রেণীর কাৰ্য্যের আলোচনায় দেখা গিরাছে যে যে রকম ঝোঁকে পড়িয়া মানুষ সেই সকল কাৰ্য্য করে সে রকম ঝোকে পড়িলে অনেক কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে অবহেলা ঘটিয়া পড়ে। তেমনি হৃদয়ের উত্তেজনায় কৰ্ম্ম করিলে কৰ্ম্ম নিষ্কাম হয় বটে। কিন্তু কখন কখন অনেক কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে অবহেলা ঘটিয়া পড়ে। অনেক দয়ালু। দানশীল ব্যক্তি দরিদ্রকে দান করিয়া করিয়া শেষে আপনারই ঘোর দারিদ্যুে নিমজ্জিত হন এবং তখন ঋণ করিয়াও দান করিতে থাকেন। এরূপ করিয়া তাহারা আপনাদের প্রতি, পরিবারবর্গের প্রতি, এবং ঋণপরিশোধের উপায় না থাকিলে ঋণদাতাদিগের প্রতিও ঘোর অধৰ্ম্ম করিয়া থাকেন । হৃদয়ের অন্যান্য ভাবের ক্রিয়া ও কখন কখন এই প্ৰণালীতে হইয়া থাকে। অতএব হৃদয়রূপ অমূল্য বস্তুর অশেষ যত্নের ব্যবস্থা করিয়া নিষ্কাম ধৰ্ম্মের অন্য ভিত্তি অনুসন্ধান করিতে হইবে। কৰ্ম্ম সম্বন্ধে গীতার প্রধান উপদেশ এই যে নিষ্কাম হইয়া কৰ্ম্ম কর। অর্থাৎ কৰ্ম্ম কর। কিন্তু তাহার ফল ভগবানকে অৰ্পণ কর। এ কথার অর্থ বড় গভীর ও সুন্দর। উপরে বলা হই য়াছে যে হৃদয়ের সদ্ভাব গুলির উত্তেজনায়ী কৰ্ম্ম করিলে কৰ্ম্ম
