হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ জ্ঞান ও ভক্তি সর্বত্র নিরপেক্ষ বলিয়া প্রচারিত হইয়াছে। সুতরাং কোন আচাৰ্য্যই এরূপ বলেন নাই যে, মুক্তিলাভে কোন বিশেষ মতাবলম্বীর, বিশেষ বর্ণের বা বিশেষ জাতির অধিকার । এ বিষয়ে ‘অন্তরা চাপি তু তদ্ষ্টে: (১) এই রেদান্তসূত্রের উপর শঙ্কর, রামানুজ ও মধ্বকৃত ভাষ্য পাঠ কর । সমুদয় উপনিষদ অধ্যয়ন কর ; এমন কি, সংহিতা পৰ্য্যন্ত অনুসন্ধান কর ; কোথাও অন্যান্য ধৰ্ম্মের স্যায় মোক্ষের সঙ্কীর্ণ ভাব পাইবে না ; অপর ধৰ্ম্মের প্রতি সহানুভূতির ভাব সর্বত্রই রহিয়াছে। এমন কি, অধ্বর্য্যবেদের সংহিতাভাগের চত্বারিংশং অধ্যায়ের তৃতীয় বা চতুর্থ শ্লোকে আছে,-( যদি আমার ঠিক স্মরণ থাকে) নি বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাং ? (২) এই ভাব হিন্দুধৰ্ম্মের সর্বত্র রহিয়াছে। ভারতে কেহ কি কখন নিজ ইষ্টদেবতা নির্বাচনের জন্য অথবা ( ১ ) বেদান্তস্বত্র ৩৪৩৬ । ইহার অর্থ এই শাস্ত্রে দেখা যায়, অনেক ব্যক্তি কোন আশ্রমবিশেষ অবলম্বন করিয়াও জ্ঞানে অধিকারী হইয়াছিলেন। (২ ) গীতাতেও আছে । ৩য় অ, ২৬ শ্লোক। অর্থ-যাহারা কৰ্ম্মকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া মনে করিয়া কৰ্ম্মে আসক্ত, সেই অজ্ঞগণকে জ্ঞানের কথা বলিয়া জ্ঞানী ব্যক্তি তাহাদের মতি বিচলিত করিবেন না। ९२
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৩৩
অবয়ব