হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত ইহা কি আশ্চৰ্য্য নহে যে, একদিকে যেমন আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রবল আক্রমণে পাশ্চাত্য স্বমতান্ধ । ধৰ্ম্মসমূহের প্রাচীন দুর্গসমূহ ধূলিসাৎ হইতেছে— একদিকে যেমন বৰ্ত্তমান বিজ্ঞানের হাতুড়ির চোটে বিশ্বাস অথবা চার্চসমিতির অধিকাংশের সম্মতিই যাহার মূল, সেই সকল ধৰ্ম্মমতরূপ মৃৎপাত্রকে গুড়াইয়া ছাতু করিয়া ফেলিতেছে ; একদিকে যেমন আততায়ী আধুনিক চিন্তার ক্রমবৰ্দ্ধনশীল স্রোতের সহিত আপনাকে মিলাইতে পাশ্চাত্য ধৰ্ম্মমতসকল কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িতেছে ; একদিকে যেমন অপর সমুদয় ধৰ্ম্মপুস্তকের মূলগ্রন্থগুলি হইতে আধুনিক চিন্তার ক্রমবৰ্দ্ধনশীল তাড়নায়, যথাসম্ভব বিস্তৃত ও উদার অর্থ বাহির করিতে হুইয়াছে, আর তাহাদের অধিকাংশই ঐ চাপে ভগ্ন হইয়া অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ভাণ্ডারে রক্ষিত হইয়াছে ; একদিকে যেমন অধিকাংশ পাশ্চাত্য চিন্তাশীল ব্যক্তি চার্চের সঙ্গে সমুদয় সংস্রব পরিত্যাগ করিয়া অশান্তিসাগরে ভাসিতেছেন ; অপর দিকে তেমনি যে সকল ধৰ্ম্ম সেই বেদরুপ জ্ঞানের মূলপ্রস্রবন হইতে প্রাণপ্রদ জল পান করিয়াছে অর্থাৎ হিন্দুধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধধৰ্ম্মেরই কেবল পুনরুথান হইতেছে ? - অশান্ত পাশ্চাত্য নাস্তিক বা অজ্ঞেয়বাদী কেবল هري
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৪৮
অবয়ব