হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত বর্ণিত ইন্দ্রবিরোচনসংবাদ ( ১ ) স্মরণ কর। উভয়েই তাহাদের ব্রহ্মত্বসম্বন্ধে উপদেশ পাইলেন। কিন্তু অস্থর বিরোচন নিজের দেহকেই ব্রহ্ম বলিয়া স্থির করিলেন, কিন্তু ইন্দ্র নিজেকে দেবতা বলিয়া বুঝিতে পারিলেন, বাস্তবিক আত্মাকেই ব্রহ্ম বলা হইয়াছে। তোমরা সেই ইন্দ্রের সন্তান ; তোমরা সেই দেবগণের বংশধর । জড় কখন তোমাদের ঈশ্বর হইতে পারে না, দেহ কখন তোমাদের ঈশ্বর হইতে পারে না । ভারত আবার উঠিবে, কিন্তু জড়ের শক্তিতে নহে, চৈতন্তের শক্তিতে, বিনাশের বিজয়পতাকা লইয়া নহে, শান্তি ও প্রেমের পতাকা লইয়া—সন্ন্যাসীর বেশসহায়ে | অর্থের শক্তিতে নহে ভিক্ষণপাত্রের শক্তিতে । বলিও না, তোমরা দুর্বল ; বাস্তবিক, সেই আত্মা সৰ্ব্বশক্তিমান। রামকৃষ্ণের শ্রীচরণের দেবম্পর্শে যে ঐ কয়েকটি মুষ্টিমেয় যুবকদলের অভু্যদয় হইয়াছে, তাহাদের দিকে দৃষ্টিপাত কর। র্তাহারা আসাম হইতে সিন্ধু ও হিমালয় হইতে কুমারিকা পৰ্য্যন্ত র্তাহার উপদেশামৃত প্রচার করিয়াছেন । র্তাহারা পদব্রজে ২০,০০০ ফুট উৰ্দ্ধবর্তী ভেদ করিয়াছেন। তাহারা চীরধারী হইয়া দ্বারে দ্বারে ( ১ ) ছানোগ্যোপনিষদের শেষাংশ দেখ । 8\ව
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৪
অবয়ব