হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত মানবরূপ শৃঙ্খলগঠিত এমন একটি সেতু নিৰ্ম্মাণ কর, যাহার উপর দিয়া লক্ষ লক্ষ লোক এই জীবনসমুদ্র পার হইয়া যাইতে পারে। সর্বপ্রকার মঙ্গলকর শক্তিকে একত্রীভূত কর। তুমি কোন পতাকার নিম্নে থাকিয়া যাত্রা করিতেছ, সে দিকে লক্ষ্য করিও না । তোমার পতাকা নীল, হরিৎ বা লোহিত, তাহা গ্রাহ করিও না, কিন্তু সমুদয় রঙ মিশাইয়া প্রেমরূপ শ্বেতবর্ণের তীব্র জ্যোতির প্রকাশ কর । আমাদের আবশ্যক—কার্য্য করিয়া যাওয়া—ফল যাহা, তাহা আপন আপনি হইবে। যদি কোন সামাজিক নিয়ম তোমার ব্ৰহ্মত্বলাভের প্রতিকূল হয়, তাহ আত্মার শক্তির সম্মুখে আর টিকিবে না। আমি ভবিষ্যৎ কি হইবে, তাহ দেখিতে পাইতেছি না, দেখিবার জন্য আমার আগ্রহও নাই। কিন্তু আমি যেন দিব্যচক্ষে দেখিতেছি যে, আমাদের সেই প্রাচীন মাতা আবার জাগরিত হইয়াছেন, পূর্বাপেক্ষ অধিক মহামহিমান্বিত হইয়া পুনর্বার নবযৌবনশালিনী হইয় তাহার সিংহাসনে বসিয়াছেন । শাস্তি ও আশীর্ববাণী প্রয়োগ সহকারে র্তাহার নাম সমগ্র জগতে ঘোষণা কর । - কৰ্ম্ম ও প্রেমে চিরকাল তোমাদেরি বিবেকানন্দ। 86.
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৫৬
অবয়ব