হিন্দুধৰ্ম্মের ক্রমাভিব্যক্তি এক মুহূর্তের মধ্যে জগৎকে শোণিতসাগরে প্লাবিত করিয়া দিতে পারেন, তাহারা খুব প্রশংসা পাইবার যোগ্য বটেন, র্যাহারা জগতের কয়েক লক্ষ লোককে মুখে স্বচ্ছন্দে রাখিবার জন্য পৃথিবীর অৰ্দ্ধেক লোককে শুকাইয়া মারিতে পারেন, তাহাদেরও মহৎ গৌরব প্রাপ্য বটে কিন্তু র্যাহার। অপর কাহারও অন্ন না কাড়িয়া লইয়াই শত শত লক্ষ লোককে শান্তি ও মুখস্বচ্ছন্দে রাখিতে পারেন, তাহারা কি কোনরূপ সম্মান পাইবার যোগ্য নহেন ? শত শত শতাব্দী ধরিয়া অপরের উপর বিন্দুমাত্র অত্যাচার না করিয়া লক্ষ লক্ষ লোকের অদৃষ্টচক্রকে পরিচালনা করাতে কি কোনরূপ শক্তির বিকাশ লক্ষিত হইতেছে না ? সকল প্রাচীন জাতির পুরাণেই বীরগণের উপাখ্যানে দেখা যায়,-—তাহাদের প্রাণ র্তাহাদের শরীরের কোন বিশেষ ক্ষুদ্র অংশে আবদ্ধ ছিল । যতদিন উহার উপর হাত পড়ে নাই, ততদিন তাহারা অজেয় ছিলেন । এইরূপ বোধ হয়, যেন প্রত্যেক জাতিরই এইরূপ বিশেষ বিশেষ স্থানে জীবনীশক্তি সঞ্চিত আছে ; তাহাতে হাত না পড়িলে কোন দুঃখবিপদেই সেই জাতিকে নাশ করিতে পারে না । - ধৰ্ম্মই ভারতের এই জীবনীশক্তি। যতদিন না হিন্দু (2>
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৬২
অবয়ব