হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ অতএব হে রাজন, আপনি বেদান্তের উপদেশাবলী পালন করুন,—অমুক ভাষ্যকার বা টীকাকারের ব্যাখ্যানুসারে নহে, আপনার অন্তৰ্য্যামী আপনাকে যেরূপ বুঝাইয়াছেন, সেইরূপ ভাবে । সর্বোপরি এই সর্বভূতে, সৰ্ববস্তুতে সমজ্ঞানরূপ মহান উপদেশ প্রতিপালন করুন —সৰ্ব্বভূতে সেই এক ভগবানকে নিরীক্ষণ করুন। ইহাই মুক্তির পথ ; বৈষম্যই বন্ধনের পথ। কোন ব্যক্তি বা কোন জাতি বাহ একত্ব জ্ঞান ব্যতীত বাহ স্বাধীনতা লাভ করিতে পারে না, আর সকলের মানসিক শক্তির একত্বজ্ঞান ব্যতীত মানসিক স্বাধীনতাও লাভ করিতে পারে না । অজ্ঞান, ভেদবুদ্ধি ও বাসন, এই তিনটিই মানব জাতির দুঃখের কারণ, আর উহাদের মধ্যে একটির সহিত অপরটির অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ। একজন মানুষের আপনাকে অপর কোন মানুষ হইতে, এমন কি, পশু হইতেও শ্রেষ্ঠ ভাবিবার কি অধিকার অাছে ? বাস্তবিক ত সর্বত্রই এক বস্তু বিরাজিত। ‘ত্বং স্ত্রী ত্বং পুমানসি ত্বং কুমার উত বা কুমারী,”—“তুমি স্ত্রী, তুমি পুরুষ, তুমি কুমার আবার তুমিই কুমারী। অনেকে বলিবেন, ‘এরূপ ভাবা সন্ন্যাসীর শোভা পায়, তাহাদের পক্ষে ইহাই ঠিক বটে, কিন্তু আমরা e را
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৭১
অবয়ব