হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ ছিল ? সেই বহুদশী অধ্যাপক শকুন্তলার একটি অধ্যায় ব্যাখ্যা করিতেছিলেন। আর সেদিন আমাদের এই যুবক ছাত্রটি যেরূপ আগ্রহ ও মনোযোগের সহিত ল্যাসনের ব্যাখ্যা শুনিতেছিল, এরূপ আগ্রহবান শ্রোতা আর কেহই তথায় উপস্থিত ছিল না। ব্যাখ্যাত বিষয়টি অবশ্ব অতিশয় হৃদয়গ্রাহী ও অদ্ভূত বোধ হইতেছিল, কিন্তু সর্ববাপেক্ষা অদ্ভুত সেই অপরিচিত ভাষা—উহার অপরিচিত শব্দগুলি—অনভ্যস্ত ইউরোপীয় মুখ হইতে উচ্চারিত হইলে উহার ব্যঞ্জনবর্ণগুলি যেরূপ কিস্তৃতকিমাকার মূৰ্ত্তি ধারণ করে, তদ্রুপভাবে উচ্চারিত হইলেও—তাহাকে অদ্ভুতভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করিয়াছিল। সে নিজ বাসস্থানে ফিরিল, কিন্তু সে রাত্রির নিদ্রায় সে যাহ! শুনিয়াছিল, তাহ ভুলাইতে পারিল না। সে যেন এতদিনের অজ্ঞাত অচেনা দেশের চকিত দর্শন পাইল, এদেশ যেন তাহার দৃষ্ট অন্য সমুদয় দেশ অপেক্ষ বর্ণখেলায় অধিক সমুজ্জ্বল, উহার যেমন মোহিনীশক্তি, এই উদাম যুবক-হৃদয় আর কখনও তক্রপ অনুভব করে নাই । তাহার বন্ধুবৰ্গ স্বভাবতঃই সাগ্রহে আশা করিতেছিলেন যে, কবে এই যুবকের স্বাভাবিক প্রবল শক্তিগুলি স্থপরিস্ফুট হইবে—র্তাহারা সাগ্রহে সেই দিনের প্রতীক্ষায় ছিলেন, ষে দিন সে কোন উচ্চ অধ্যাপক ፃ8
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮৫
অবয়ব