হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ হইতে পারিত ) কোন দুর্লভ হস্তলিপি পুথি বা বিখ্যাত অধ্যাপকের অনুসন্ধানে শত শত ক্রোশ ভিক্ষামাত্রোপজীবী হইয়া পদব্রজেন্দ্রমণকারী, বৎসরের পর বৎসর— যতদিন না কেশ শুভ্ৰ হইতেছে ও বয়সের ভারে শরীর অক্ষম হইয়া পড়িতেছে—নিজ পঠিতব্য বিষয়ে অদ্ভূতভাবে দেহমনের সমুদয় শক্তি প্রয়োগপরায়ণ–এরূপ ছাত্র ঈশ্বরকৃপায় এদেশ হইতে এখনও একেবারে লুপ্ত হয় নাই। এখন ভারত যাহাকে নিজ মূল্যবান সম্পত্তি বলিয়া গৌরব করিয়া থাকে, তাহ নিশ্চিতই অতীত কালে তাহার উপযুক্ত সন্তানগণের এতাদৃশ পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আর ভারতীয় প্রাচীন যুগের পণ্ডিতগণের পাণ্ডিত্যের গভীরতা ও সারত্ব এবং উহার স্বার্থগন্ধহীনতা ও উদ্দেশ্যের—ঐকান্তিকতার সহিত আধুনিক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষায় যে ফললাভ হইতেছে তাহার তুলনা করিলেই আমার উপরোক্ত মস্তব্যের সত্যতা প্রতীয়মান হইবে। যদি ভারতবাসিগণ তাহাদের ঐতিহাসিক অতীতযুগের মত অন্যান্য জাতির মধ্যে নিজ পদগৌরব প্রতিষ্ঠিত করিয়া আবার উঠিতে চায়, তবে আমাদের দেশবাসিগণের জীবনে যথার্থ পাণ্ডিত্যের জন্য স্বার্থহীন অকপট উৎসাহ ও খাটি অকপট চিন্তাশক্তি আবার প্রবলভাবে জাগরিত হওয়া ーや
পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৮৭
অবয়ব